ফাইল চিত্র।
প্রশাসনের লোকজন গিয়ে নাবালিকার বিয়ে বন্ধের ঘটনা হামেশাই ঘটে। এ বার বিয়ে রুখলেন নবম শ্রেণির ছাত্রী নিজেই।
আউশগ্রামের বটগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বছর ষোলোর ওই ছাত্রীর দাবি, মা-বাবা কোনও কথা না শুনে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন। উপায় না স্কুলে গিয়ে সাহায্য চায় কিশোরী। বুধবার বিকেলে ওই স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ওই নাবালিকার বাড়ি গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, আঠারো বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওই পরিবার। সঙ্গে এই বয়সে বিয়ে দেওয়া আইনবিরুদ্ধে জেনেও সমাজ, আর্থিক পরিস্থিতির চাপে পড়ে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন বলেও তাঁদের দাবি।
পরিবারের এমন দাবি চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। আউশগ্রাম ১-এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু জানান, নাবালিকা বিয়ে নিয়ে প্রচারের পরে সচেতনতা অনেকটাই বেড়েছে। তবু কোনও কোনও এলাকায় কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। অনেক সময়েই মেয়ের নিরাপত্তা বা নিজেদের আর্থিক সঙ্গতির অভাবেও বিয়ে দিয়ে ‘দায়মুক্ত’ হতে চায় পরিবার। এটা খুবই উদ্বেগের বলেও কর্তাদের দাবি।
বটগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্গাপ্রসন্ন গোস্বামী জানান, ওই ছাত্রীটি কন্যাশ্রী ক্লাবের নোডাল শিক্ষিকার কাছে কাঁদতে কাঁদতে জানায় তার বিয়ে ঠিক করা হচ্ছে। বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধও করেছে। কিন্তু সে পড়তে চায়। এ কথা জেনে বিষয়টি ব্লক প্রশাসন কে জানানো হয়। এরপরে কন্যাশ্রী ক্লাব এবং প্রশাসনের লোকজন ওই পরিবারটিকে নাবালিকা বিয়ের কুফল বোঝায়। ওই ছাত্রী নিয়মিত স্কুলে আসছে কি না তা দেখা হবে বলেও তাঁর দাবি।