Kanksa

কাঁকসায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের মারধর, ভাঙচুর দুষ্কৃতীদের, কাজ বন্ধের হুমকি নিগৃহীতদের

ভাঙচুরের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। যদিও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের বক্তব্য, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত কাজ করবেন না তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১৬:৩৮
Share:

দুষ্কৃতী হামলার জেরে আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রঘুনাথপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।

রাতের অন্ধকারে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় রঘুনাথপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঢুকে তাণ্ডব চালাল এক দল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, সোমবার রাতে বাঁশ-লাঠোসোটা নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঢুকে কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে তারা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের দু’টি গাড়ি-সহ ভাঙচুর চলে অফিসে। এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা না হলে কাজ বন্ধের হুমকি দিয়েছেন ওই কেন্দ্রের কর্মীরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, কাঁকসার রঘুনাথপুর পাওয়ার স্টেশনে (বিদ্যুৎকেন্দ্রে) সোমবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ ১০-১২ জনের একটি দল ঢুকে পড়ে। সেখানকার নিরাপত্তারক্ষী-সহ কর্মীদের বেধড়ক বাঁশপেটা করে। পাশাপাশি, অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ভাঙচুরে ওই কেন্দ্রের দু’টি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।‌ বিমল ঘোষ নামে বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মী বলেন, ‘‘গত কাল (সোমবার) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে লাইনের কাজ চলছিল। সওয়া ১১টা নাগাদ গেট টপকে এসে আমাদের অফিসের ঢুকে পড়ে এক দল দুষ্কৃতী। বাঁশ দিয়ে আমাদের কর্মীদের পেটায় ওরা। গাড়ি ভাঙচুর করেছে। অফিসেরও ক্ষতি করেছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’’

এই হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। অপারেটর বিভাগের বিদ্যুৎকর্মী সোমনাথ ঘোষের দাবি, ‘‘এ রকম মারধর, ভাঙচুর আগেও হয়েছে। বড়কর্তাদের বলেও সুরাহা হয়নি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’’

Advertisement

আহত আর এক কর্মীর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা হয়তো রঘুনাথপুরের পাশের গ্রাম কাঁকোড়া থেকে এসেছিল। ওদের এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকার জন্যই এই হামলা চালায়।

ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। যদিও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের বক্তব্য, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত কাজ করবেন না তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন