প্রশ্নে স্টেশনের নিরাপত্তা

ট্রেন ছাড়তেই ভিনদেশির ব্যাগ নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীর

দার্জিলিং থেকে হাওড়া ফেরার পথে ট্রেনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়লেন এক বাংলাদেশি পরিবার।অভিযোগ, ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশন ছাড়তেই ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এক দুষ্কৃতী। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ওই ছিনতাইকারীকে ধরতে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামেন ওই পরিবারের এক সদস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৬ ০০:০০
Share:

দার্জিলিং থেকে হাওড়া ফেরার পথে ট্রেনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়লেন এক বাংলাদেশি পরিবার।

Advertisement

অভিযোগ, ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশন ছাড়তেই ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এক দুষ্কৃতী। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ওই ছিনতাইকারীকে ধরতে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামেন ওই পরিবারের এক সদস্য। তবে ওই দুষ্কৃতী লাইন টপকে পালানোয় ধরতে পারেননি তিনি। পরে বর্ধমান জিআরপি-র কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা।

বর্ধমান বিভাগের রেল পুলিশের ডিএসপি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে ওই বাংলাদেশি ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পরে ছেড়ে দিয়েছে।”

Advertisement

তবে এই ঘটনার পরে আবারও বর্ধমান স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। দিন কয়েক আগেই বর্ধমান স্টেশন থেকে জঙ্গি সন্দেহে এক যুবককে ধরা হয়। তারপরেও স্টেশনের ‘ঢিলেঢালা’ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উদ্বিগ্ন যাত্রীরা।

পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকার মহম্মদ বাজারের বাসিন্দা, পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী আফজল হোসেন বেশ কয়েকদিন আগে সপরিবার দার্জিলিং বেড়াতে যান। এ দিন এনজেপি থেকে পদাতিক এক্সপ্রেস ধরে হাওড়া ফিরছিলেন তাঁরা। সকালে বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়ানোর পরে ট্রেন চলতে শুরু করার মুহূর্তেই দুই যুবক জানাল দিয়ে আফজল হোসেনের ব্যাগ ছিনিয়ে চম্পট দেয়। ছেলেদুটিকে ধরার জন্য ট্রেন থেকে ধাঁপিয়ে নামেন তিনি। রেললাইন ধরে কিছুটা দৌড়েও যান। তবে নাগাল পাননি ওই দু’জনের। দৌড়তে গিয়ে পায়ে আঘাতও পান তিনি। পরে রেল পুলিশ তাঁকে হাওড়াগামী অন্য ট্রেনে তুলে দেয়। আফজল হোসেনের দাবি, খোওয়া যাওয়া ব্যাগে ৮টি পাসপোর্ট, ১২ হাজার বাংলদেশি টাকা ও ১০০০ ডলার ছিল।

বাংলাদেশের ওই ব্যক্তির আরও দাবি, চার জন মিলে দার্জিলিং গিয়েছিলেন তাঁরা। তাহলে সঙ্গে আটটি পাসপোর্ট কেন ছিল, সে উত্তর অবশ্য মেলেনি। রেল পুলিশের এক কর্তা বলেন, “আমরা সব দিক খতিয়ে দেখার পরেই নিশ্চিত হয়েছি। তারপর ওই ব্যক্তিকে ছাড়া হয়েছে।”

দিন কয়েক আগেই আপ বিশ্বভারতী এক্সপ্রেস থেকে বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা মহম্মদ মুসাউদ্দিন ওরফে মুসাকে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আটক করে জেলা পুলিশ। পরে সিআইডি তাঁকে জঙ্গি-যোগের অভিযোগে গ্রেফতার করে। তার কয়েকদিনের মধ্যে এক বিদেশি পর্যটকের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে বর্ধমান স্টেশনে। রেল কর্তাদের যদিও দাবি, “বর্ধমান স্টেশনে নিয়মিত ভাবে পুলিশ তল্লাশি চালায়। দিনভর সাদা পোশাকের পুলিশও ঘুরে বেড়ায়। আগের থেকে যাত্রী নিরাপত্তা অনেক সুরক্ষিত এখন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন