এমপিএড চালুর তোড়জোড় শুরু

মাস্টার অব ফিজিক্যাল এডুকেশেন (এমপিএড) পাঠ্যক্রম চালু হতে চলছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই পাঠ্যক্রমের পরিকাঠামো, খরচ, আসন কত হবে, সে সব ব্যাপারে ইতিমধ্যে মঞ্জুরি কমিশনকে জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ওই পাঠ্যক্রম খোলার পক্ষে উপযুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখতে বর্ধমানে ঘুরে গিয়েছেন ন্যাশ্যানাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন (এনসিটিই) এবং রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৫ ০১:৩৮
Share:

মাস্টার অব ফিজিক্যাল এডুকেশেন (এমপিএড) পাঠ্যক্রম চালু হতে চলছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Advertisement

এই পাঠ্যক্রমের পরিকাঠামো, খরচ, আসন কত হবে, সে সব ব্যাপারে ইতিমধ্যে মঞ্জুরি কমিশনকে জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ওই পাঠ্যক্রম খোলার পক্ষে উপযুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখতে বর্ধমানে ঘুরে গিয়েছেন ন্যাশ্যানাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন (এনসিটিই) এবং রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধিরা। এই দলে ছিলেন এনসিটিই-র দুই সদস্য শক্তিরঞ্জন মিশ্র ও নলীন বাইলোচন। উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে হাজির ছিলেন জয়েন্ট ডিরেক্টা অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন সুজিত পাল ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রথমে উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার ও রেজিস্ট্রার রজত ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তাঁরা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে। তার পরে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমন্যাসিয়াম হলে। তাঁরা অডিটোরিয়াম পরিদর্শন করে মোহনবাগান মাঠে পৌঁছন। সেখানে ফুটবল, ক্রিকেট, খো খো, হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল ও ভলিবল, অ্যাথলেটিক্সের উপযুক্ত মাঠ রয়েছে কি না, তাতে শিক্ষার্থীরা প্র্যাক্টিক্যাল করার সুযোগ পাবেন কি না, তা ঘুরে দেখেন তাঁরা। দেখেন মাল্টিজিমও। পরিদর্শক দলের সদস্যদের এ সব ঘুরিয়ে দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া আধিকারিক সুরজিৎ নন্দী, লাইফ লং লার্নিং-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও কলেজসমূহের পরিদর্শক দেবকুমার পাঁজা।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া আধিকারিক সুরজিৎবাবু জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কয়েকটি কলেজে ব্যাচেলার অব ফিজিক্যাল এডুকেশন পাঠ্যক্রম চালু রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে স্নাতোকোত্তর বিভাগ না থাকায় পাশ করার পরে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বাধ্য হন পড়ুয়ারা। তাই তাঁদের উপরে নতুন এই পাঠ্যক্রম চালুর জন্য চাপ আসছিল।

তবে এই নতুন এমপিএড পাঠ্যক্রমের জন্য ৭টি ল্যাবরেটরি, চারটি শ্রেণিকক্ষ, একটি সভাকক্ষ-সহ মোট ১৬টি ঘর দরকার। সুরজিৎবাবু বলেন, “এনসিটিই এবং শিক্ষা দফতরের অনুমতি পেলেই আমরা গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে এই পাঠ্যক্রমের ক্লাস চালু করব। তার পরে মোহনবাগান মাঠে তৈরি হবে এমপিএড ভবন ও হস্টেল।”

এনসিটিই-র অন্যতম সদস্য শক্তিরঞ্জন মিশ্র বলেন, “আমরা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো দেখে খুশি। ক্যাম্পাসটি বেশ সাজানো-গোছানো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমপিএড পাঠ্যক্রম খোলার ব্যাপারে আমাদের আপত্তি নেই। তবে এই পাঠ্যক্রম চালুর অর্থ দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন