অবাঞ্ছিত হোর্ডিং সরাতে গা-ঝাড়া

মুখ ঢাকা বিজ্ঞাপনে। শহরে এই অভিযোগ বহু দিনের। এ বার তা থেকে মুক্তি পেতে পরিকল্পনা করছে আসানসোল পুরসভা। সম্প্রতি দুই কাউন্সিলরকে শহরে সব অবৈধ হোর্ডিং খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৭ ০০:৫১
Share:

ছয়লাপ: আসানসোলের রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।

মুখ ঢাকা বিজ্ঞাপনে। শহরে এই অভিযোগ বহু দিনের। এ বার তা থেকে মুক্তি পেতে পরিকল্পনা করছে আসানসোল পুরসভা। সম্প্রতি দুই কাউন্সিলরকে শহরে সব অবৈধ হোর্ডিং খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির নির্দেশ, অবৈধ হোর্ডিং তো বটেই, অপ্রয়োজনীয় হোর্ডিংও রাখা চলবে না। মে থেকে শহর জুড়ে এই সব হোর্ডিং সরিয়ে ফেলা শুরু হবে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

নতুন জেলা ঘোষণার আগেই আসানসোলকে ‘গ্রিন সিটি মিশন’-এর আওতায় এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য, শহরকে সুন্দর ও স্বচ্ছ করে গড়ে তোলা। তাই সৌন্দর্যায়নে বাধা তৈরি করা হোর্ডিং খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দাবি মেয়রের। তিনি বলেন, ‘‘আসানসোল পুরসভাকে মুখ্যমন্ত্রী শুধু এই প্রকল্পের আওতায় আনেননি, তা বাস্তবায়নে ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুরও করেছে সরকার।’’

মেয়র জানান, নিকাশি ও জঞ্জাল সাফাই থেকে শহর জুড়ে সবুজায়ন ও জলাশয় রক্ষাই ওই মিশনের লক্ষ্য। হোর্ডিং খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত কেন? মেয়রের দাবি, পুর এলাকায় হিসেব বহির্ভূত বহু হোর্ডিং রয়েছে। পুরসভার কাছে যার কোনও রেকর্ড নেই। এছাড়া শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য কয়েকটি রাস্তা ও অঞ্চলকে হোর্ডিংমুক্ত রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন কাউন্সিলররা। মেয়র জানান, অবৈধ ও অবাঞ্ছিত হোর্ডিং খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুই কাউন্সিলর বাচ্চু রায়চৌধুরী ও বিবেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁরা সেই কাজ শুরুও করেছেন।

Advertisement

পুরসভার এক আধিকারিক জানান, শুধু আসানসোলের ৫২টি ওয়ার্ডেই প্রায় তিনশো অবৈধ হোর্ডিংয়ের হদিশ মিলেছে। এখনও বাকি রয়েছে কুলটি, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জে হোর্ডিং অভিযান। তিনি আরও জানান, পুরসভায় নামমাত্র হোর্ডিংয়ের হিসেব রয়েছে। সেগুলি থেকে খুব কম রাজস্ব আদায় হয়। তাঁর অভিযোগ, একাধিক বাণিজ্যিক সংস্থা ইচ্ছেমতো শহরজুড়ে হোর্ডিং দিয়েছে। এই বেনিয়ম সবচেয়ে বেশি কুলটি পুর এলাকায়।

পুরসভার কর্তাদের একাংশের দাবি, বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় থাকা দলের কাউন্সিলরদের একাংশ ও কিছু অফিসারের যোগসাজশেই বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি ইচ্ছেমতো হোর্ডিং দিয়েছে। এ ভাবে যাতে আর রাজস্বে ক্ষতি না হয়, সে জন্য কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে, দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন