স্বামীর দেহ শনাক্ত না করায় হামলা

স্বামী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান বুধবার রাতে। বাড়ির সামনে অগ্নিদগ্ধ হলেও, স্ত্রী ওই রাতে শনাক্ত করেননি। এই অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরের কোকআভেন থানার সগড়ভাঙার এন ব্লকে মৃতের স্ত্রী-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন মহিলাকে মারধরের করেন স্থানীয় বাসিন্দা মহিলারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১৬
Share:

স্বামী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান বুধবার রাতে। বাড়ির সামনে অগ্নিদগ্ধ হলেও, স্ত্রী ওই রাতে শনাক্ত করেননি। এই অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরের কোকআভেন থানার সগড়ভাঙার এন ব্লকে মৃতের স্ত্রী-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন মহিলাকে মারধরের করেন স্থানীয় বাসিন্দা মহিলারা। মারধরের ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান সগড়ভাঙার এন ব্লকের বাসিন্দা তাপস মিত্র (৪৫)। তাঁর বাড়ির সামনেই দেহটি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বুধবার পুলিশ মৃতের নাম, পরিচয় জানতে পারেনি। চারদিকে খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। সগড়ভাঙার বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, তাপস মিত্র নামের এক ব্যক্তির দেহ হতে পারে এটি। সেই মতো পুলিশ মৃতের স্ত্রী মন্দিরা মিত্র ও ভাই গোপাল মিত্রকে দেহ শনাক্ত করতে ডেকে পাঠায়।

প্রসঙ্গত, মৃতের ভাই অন্যত্র থাকেন। গোপালবাবু দেহটি শনাক্ত করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিকে দেহ শনাক্ত করে বাড়ি ফেরার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতের পরিবারের উপর চড়াও হন। তাঁদের দাবি, তাপসবাবুকে খুন করা হয়েছে। আর এতে তাঁর স্ত্রী যুক্ত রয়েছে। এই অভিযোগ তুলে মৃতের স্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজন মহিলার উপর চড়াও হন স্থানীয় মহিলারা। ঘটনার খবর পেয়ে উপস্থিত হয় কোকআভেন থানার পুলিশ। তাঁরা ওই মহিলাদের উদ্ধার করতে গেলে, পুলিশের উপরেও ক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এমনকী পুলিশ মৃতের স্ত্রী-সহ অন্যান্য মহিলাদের উদ্ধার করে থানায় আনার সময়ও চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপসবাবু একটি বেসরকারি কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হত। ঝামেলার পরেই তাপসবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। আবার দু’একদিন পর ফিরে আসতেন। বুধবারও একই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু বাড়ির কাছে কে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তা তিনি জানতেন না। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না-তদন্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন