রাস্তায় একা কিশোরী, উদ্ধারে পড়শিরা

বাড়ি থেকে বেরিয়ে শনিবার রাতে রাস্তায় ঘুরছিল বছর এগারোর এক প্রতিবন্ধী কিশোরী। পাড়ার বাসিন্দারাই তাকে আশ্রয় দিয়ে পুলিশে খবর দেন। বাসিন্দাদের দাবি, মামা ও মাসির মারধরের হাত থেকে বাঁচতে শনিবার বাড়ি ছাড়ে সুনীতা কুমারী নামের ওই কিশোরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০০:০৩
Share:

বাড়ি থেকে বেরিয়ে শনিবার রাতে রাস্তায় ঘুরছিল বছর এগারোর এক প্রতিবন্ধী কিশোরী। পাড়ার বাসিন্দারাই তাকে আশ্রয় দিয়ে পুলিশে খবর দেন। বাসিন্দাদের দাবি, মামা ও মাসির মারধরের হাত থেকে বাঁচতে শনিবার বাড়ি ছাড়ে সুনীতা কুমারী নামের ওই কিশোরী। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর বাবা ও মাকে খবর দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

দুর্গাপুরের বিওজিএল প্ল্যান্ট সাইট বস্তিতে থাকেন সুভাষ শর্মা, তাঁর স্ত্রী গীতা এবং প্রতিবন্ধী বোন রিঙ্কি কুমারী। তাঁদের কাছেই থাকে সুভাষের ভাগ্নি সুনীতা। তার পায়ে সমস্যা আছে। কথা বলতে গেলে মুখ দিয়ে লালা ঝরে। সুনীতার আসল বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গিরিডির কাছে শাখা গ্রামে। বাবা বাজো ঠাকুর ও মা মুন্নিদেবী থাকেন সেখানে। তাঁরা দু’জনও প্রতিবন্ধী। মেয়ে সুনীতা ও ছেলে রোহিতকে তাঁরা রেখে গিয়েছে‌ন মামাবাড়িতে। স্থানীয় বাসিন্দা টুসু দাস বলেন, ‘‘শনিবার রাতে সুনীতাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় ঘুরতে দেখি। তখন মুখ ব্ল্যাকটেপ দিয়ে বন্ধ ছিল। শরীরে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।’’ পাড়ারই বাসিন্দা স্বপন দেবনাথ ও পূর্ণিমাদেবী তাঁদের বাড়িতে আশ্রয় দেন সুনীতাকে। রবিবার সুনীতা বলে, ‘‘মামা আর মাসি আমায় মাঝেমাঝেই মারধর করে। আমি আর ওই বাড়িতে ফিরতে চাই না।’’ মাসি রিঙ্কি কুমারী বলেন, ‘‘সুনীতা মানসিক রোগী। কেবল পালিয়ে যায়। তাই ভয় দেখানোর জন্য অল্প মারধর করি।’’

রবিবার খবর পেয়ে পুলিশ আসে এলাকায়। পুলিশ জানায়, খবর দেওয়া হয়েছে সুনীতার বাবা-মাকে। মেয়েটিকে হোমে রেখে পড়াশোনার ব্যবস্থার আর্জি জানিয়েছেন পড়শিরা।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন