ঢেলে সাজছে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের চুপি গ্রামের পাখিরালয়। বুধবার বিকেলে পাখিরালয় সংলগ্ন একটি পর্যটক আবাসের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব বিশ্বাস। ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আবাসটি নির্মিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চুপি গ্রামের পাশ দিয়েছে ছাড়িগঙ্গা। মিষ্টি জলের টানে বহু বছর ধরেই দেশ, বিদেশের নানা পাখি আসে এখানে। আবার গরমের শুরুতে ফিরে যায় তারা। শীত পড়তেই পাখি দেখতে ভিড় বাড়ে পর্যটকদেরও। প্রায় দেড় দশক আগে জেলা পরিষদ চুপি গ্রামে ওই পাখিরালয় তৈরি করে। পরবর্তীতে ওয়াচ টাওয়ার, পিকনিক স্পট তৈরি হয়। তবে পাখিরালয় থেকে কিলোমিটার খানেক দুরে একটি পর্যটক আবাস তৈরি হলেও সেটি কাজে লাগেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দূরে হওয়ায় বেশির ভাগ পর্যটক সেখানে যেতে চাইতেন না। ফলে পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে সেটির। ছাড়িগঙ্গার ধারে পর্যটক আবাসের দাবিও ওঠে। বছর দুয়েক আগে রাজ্যের পর্যটন দফতর ওই পাখিরালয় সাজাতে ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা অনুমোদন করে। পরিকাঠামো তৈরির জন্য জমির সমস্যা মেটাতে এগিয়ে আসে পূর্বস্থলী পঞ্চায়েত। বিঘে তিনেক জমি কিনে তৈরি হয় নতুন পর্যটক আবাসটি। পঞ্চায়েতের দাবি, পাখিরালয়ে থাকলে বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা। পাখিও থাকবে চোখের সামনে। শিশু উদ্যান, রাস্তা-সহ বাকি পরিকাঠামো তৈরির কাজ এগিয়েছে অনেকটাই। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত দুটি পরিবার পর্যটক আবাসটিতে রাত কাটাতে পারবেন। এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন কালনার মহকুমাশাসক নিতিন সিংহানিয়া, পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বিডিও সোমনাথ দে, পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসক জানান, অনলাইনে পর্যটকেরা যাতে আবাসটি বুক করতে পারেন সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।