শপথের প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
রাত পোহালেই নতুন কাউন্সিলরদের শপথ। তাই সেজে উঠছে সিটি সেন্টারের সিধো-কানহু স্টেডিয়াম। কিন্তু মেয়র কে, মেয়র পারিষদের কারা— সোমবার পর্যন্ত সে নিয়ে ধোঁয়াশাই দুর্গাপুরে।
শহরের ৪৩টি ওয়ার্ডেই এ বার জিতেছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। ফল বেরিয়েছে ১৭ অগস্ট। কাল, বুধবার সিধো-কানহু স্টেডিয়ামে কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি। সে দিনই নতুন বোর্ডের প্রথম সভা হবে। পৌরহিত্য করবেন গত পুরবোর্ডের ডেপুটি মেয়র তথা এ বার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন বোর্ডের শপথগ্রহণ ঘিরে আয়োজনের খামতি নেই। স্টেডিয়ামের দেওয়ালে নীল-সাদা রংয়ের পোঁচ দেওয়া হয়েছে। ভিতরে চলছে ডেকরেশনের কাজ। গড়া হয়েছে বড় মঞ্চ। কয়েকশো ফ্যান ভাড়া করে আনা হয়েছে। সাড়ে আটশো অতিথির জন্য স্টেডিয়ামের মেঝেতে চেয়ার পাতা হয়েছে। বাকিদের বসার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট গ্যালারি। বোর্ডের প্রথম সভার জন্য বেছে নিয়ে স্টেডিয়ামের একটি ঘর বিশেষভাবে সাজার কাজ চলছে। স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখে তৈরি হয়েছে বিশেষ তোরণ।
সোমবার দুপুরে কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক মোদী, এসিপি বিমল মণ্ডলকে নিয়ে কাজের তদারক করেন পুরসভার কমিশনার অমিতাভ দাস। ছিলেন তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১২টায় শপথগ্রহণ শুরু হবে। এর পরে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করবেন মন্ত্রী তথা দলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। সেখানেই মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদদের নাম ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শপথগ্রহণের এক দিন আগেও কে কোন পদে বসছেন, সে নিয়ে কাউন্সিলররা সংশয়ে। এ নিয়ে চর্চা চলছে শহরবাসীর মধ্যেও। গত বার অপূর্ব মুখোপাধ্যায়কে পুরভোটের আগেই মেয়র পদপ্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু এ বার কারও নাম জানানো হয়নি। দলের অন্দরে সম্ভাব্য মেয়র হিসেবে কখনও উঠে আসছে পুরনো কোনও নেতার নাম। কখনও বা আবার দলে নবাগত কোনও মহিলা বা প্রাক্তন সরকারি আধিকারিকের নাম। কিন্তু দুর্গাপুরে শাসক দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও নিশ্চিত নন, কে মেয়র হবেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা বলেন, ‘‘এক দিন পরে শপথগ্রহণ। অথচ, এখনও নিশ্চিত হতে পারছি না! খুবই ধন্দে রয়েছি।’’ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর সই করা মুখবন্ধ খাম সে দিনই শহরে পৌঁছবে। সেখানেই থাকবে পদাধিকারিদের নাম।