পর্যটক টানতে নতুন গেস্টহাউস কালনায়

কালনা শহরের গা-ঘেঁষা নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক গেস্ট হাউসের উদ্বোধন হল। খরচ হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। বুধবার এর উদ্বোধন করেন কৃষি বিপণন দফতরের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৮
Share:

উদ্বোধনের পরে নতুন গেস্টহাউস। নিজস্ব চিত্র।

কালনা শহরের গা-ঘেঁষা নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক গেস্ট হাউসের উদ্বোধন হল। খরচ হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। বুধবার এর উদ্বোধন করেন কৃষি বিপণন দফতরের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। মন্ত্রী জানান, গেস্ট হাউসটির সামনের অংশ সাজাতে দফতর আরও ৬১ লক্ষ খরচ করবে।

Advertisement

সম্প্রতি কালনা শহরে পর্যটন উৎসবে এসেছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। উদ্বোধন সেরে তিনি রাতে থাকার ইচ্ছে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, রাত কাটানোর মতো গেস্টহাউস নেই শুনে হতাশ হন। বাধ্য হয়ে ৪০ কিলোমিটার উজিয়ে নবদ্বীপে গিয়ে রাত কাটান। মন্ত্রী নন, পর্যটক থেকে শুরু করে আমলাদের দীর্ঘ দিনের এ আক্ষেপ ছিল।

প্রশাসন সূত্রের খবর, গেস্ট হাউসটি তৈরি করতে ২০১২ সালে উদ্যোগী হয় নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটি। মাস পাঁচেক আগে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী তপনবাবু দেখেন ঝাঁ চকচকে গেস্ট হাউসটি তৈরি হয়েও পড়ে! দরকার কিছু আসবাব পত্রের। মন্ত্রী তখনই জানান, দ্রুত আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে এ দিন পূর্বস্থলি দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির, ভূমি এবং প্রাণি সম্পদ দফতরের মন্ত্রী তপনবাবুকে জানান গেস্ট হাউসের সামনে একটি জলা জায়গা রয়েছে, সেটিকে ভাল করে সাজিয়ে ফোয়ারা, আলো এবং একটি বাগানের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। মন্ত্রী এ ব্যাপারে মহকুমাশাসককে পরিকল্পনা তৈরি করে তাঁর দফতরে দ্রুচ পাঠাতে বলেছেন।

Advertisement

মন্ত্রী নিজেই এ দিন গেস্ট হাউসটির নামকরণ করেন মানসী। তাঁর কথায়, পুরাতত্ত্বের নানা নিদর্শনে ভরপুর কালনা শহরে বহু পর্যটক আসেন। তাঁরা এখানে আরামে রাত কাটাতে পারবেন। গেস্টহাউসের বাইরের সৌন্দর্যায়নের কাজ ২০১৭ সালের মধ্যে শেষ করার কথা। কালনা শহরে সুফল বাংলার কাউন্টার খোলার কথাও জানান মন্ত্রী। যেখানে কৃষি এবং প্রাণিসম্পদ দফতরের পণ্য যেমন তুলাইপাঞ্জি চাল, মাংস, ডিমের মতো অজস্র পণ্য সাধারণ মানুষ বাজারের থেকে কম দামে পাবেন। সেই কাউন্টার কোথায় খোলা হবে সে নিয়ে কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু এবং পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঠিক হয়, পুরানো বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেই তৈরি হবে এটি।

কিসান মান্ডির ঘর নিয়ে ব্যবসা না করলে ঘর ফিরিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষিজ বিপণন মন্ত্রী। এ দিন কালনার নিয়ন্ত্রিত বাজারে মাছ বাজারের জন্য তৈরি হওয়া পরিকাঠামো ফেলে রাখা, বাজারে ঘর নিয়েও অনেকে ঘর না খোলার বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আনা হয়। সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রী জেলার নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির সচিব শুভ্রাংশ সিংহ রায়কে নির্দেশ দেন। নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি এলাকায় বহু বছর ধরে তৈরি হয়ে পরে রয়েছে একটি সব্জি হিমঘর। এর দরজা কবে খুলবে? জবাবে মন্ত্রী জানান, রাজ্যে এই ধরনের হিমঘর রয়েছে ৩৮টি। এগুলির নানা কারিগরি ত্রুটি রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন