প্রতীকী ছবি।
এই সংগঠনটির গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগে বার বার উত্তপ্ত হয়েছে শহরের নানা কারখানা। শেষমেশ আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি হিসেবে বিশ্বনাথ (বিশু) পাড়িয়ালের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন। এই ঘটনার পরেই, দুর্গাপুরের রাজনৈতিক নেতৃত্বের একাংশের ধারণা, সংগঠনের গোষ্ঠী কোন্দল সামাল দিতেই খাতায়-কলমে এখনও কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে দুর্গাপুরের দু’টি আসনে ভরাডুবির পরে জেলা জুড়ে আইএনটিটিইউসি-র সমস্ত কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরে ভি শিবদাসন জানিয়েছেন, শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। সেখানেই বিশ্বনাথকে সংগঠনের জেলা সভাপতি ও সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসেবে ভি শিবদাসনের নাম মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি।
কিন্তু এই ঘটনার পরে ফের শহরে পুরনো জল্পনা, তা হলে কি এ বার পাকাপাকি ভাবে তৃণমূলেই যোগ দিচ্ছেন বিশ্বনাথ। যদিও কংগ্রেসে থেকেও শ্রমিক সংগঠনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি ভাবে কোনও বাধা নেই বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু একের পর এক নানা ঘটনাই এই জল্পনাকে উস্কে দিচ্ছে বলে মনে করছেন তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ।
কারণ তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, দল না পাল্টালেও বিশ্বনাথকে তৃণমূল ভবনে যাতায়াত, তাঁর স্ত্রী ও কিছু অনুগামীকে দুর্গাপুর পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট দেওয়া, তৃণমূলের কর্মী বৈঠকে বিশ্বনাথের বক্তৃতা দেওয়ার মতো ঘটনা অতীতে ঘটেছে। উল্টো দিকে, তৃণমূল কর্মীদের একাংশের ধারণা, বিশ্বনাথকে সংগঠনের শীর্ষ পদে এনে আসলে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নেত্রী। কারণ, অতীতে ডিপিএল-সহ শহরের বেশ কিছু কারখানায় সংগঠনের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে গোলমালের ঘটনা সামনে এসেছিল।
এই বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উনি যে তৃণমূলই, এই ঘটনায় ফের তা প্রমাণ হল।’’ বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে বিশ্বনাথবাবুকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘নেত্রীর নির্দেশ মতো, এখন সকলে এক সঙ্গে চলব।’’