দশ দিন বিদ্যুৎ নেই, ভোগান্তি

ক্লাসে এলেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে হয় কচিকাঁচাদের। সঙ্গে মিলছে না জলও। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এমনই হাল মঙ্গলকোটের লক্ষ্মীপুর দাসপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষকদের দাবি, বারো দিন আগে ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাওয়ার পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন মঙ্গলকোটের ওই এলাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০৭
Share:

ক্লাসে এলেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে হয় কচিকাঁচাদের। সঙ্গে মিলছে না জলও। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এমনই হাল মঙ্গলকোটের লক্ষ্মীপুর দাসপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষকদের দাবি, বারো দিন আগে ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাওয়ার পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন মঙ্গলকোটের ওই এলাকা। বারবার বিদ্যুৎ দফতরে জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলেও তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ই এপ্রিল বিদ্যালয় লাগোয়া ক্যানেলপাড়ে থাকা ১০ কিলোভোল্টের ওই ট্রান্সফর্মার পুড়ে যায়। তারপর থেকেই টানা অন্ধকারে লক্ষ্মীপুর গ্রাম। সকাল ছ’টায় স্কুল খোলার পরে দুপুরে বন্ধ হওয়া পর্যন্ত গরমে নাজেহাল ওই প্রাথমিক স্কুলের ১২০ জন পড়ুয়া। শিক্ষক সোমেশচন্দ্র মণ্ডল, শেখ মহব্বতদেরও দাবি, দোতলা স্কুল ভবনের পাঁচটি ঘরেই প্রচন্ড গরম। পাখা না থাকায় খুদে পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। পাম্প চালিয়ে জলও তোলা যাচ্ছে না। আজ মঙ্গলবার থেকে স্কুলে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা বলেও জানান তাঁরা। গ্রামের হাজার দুয়েক বাসিন্দাদেরও দাবি, সন্ধ্যা হলেই আঁধার হচ্ছে গ্রাম। শিশু, বয়স্কদের নিয়ে মুশকিল বাড়ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম মণ্ডলের দাবি, ঘটনার এক দিন পরেই নতুনহাট স্টেশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কাজ হয়নি। এলাকার বাসিন্দা ভোলা দাস, নিমাই দাসদেরও দাবি, ১০ কিলোভোল্টের যে ট্রান্সফর্মার পুড়েছে তা উপভোক্তদের পক্ষে যথেষ্ট নয়। ২৫কিলোভোল্টের ট্রান্সফর্মার দরকার। নতুনহাট বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজারের আশ্বাস, যা পুড়েছে তার আড়াই গুন অর্থাৎ ২৫ কিলোভোল্টের ট্রান্সফর্মার দেওয়া হবে। সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের মহকুমা আধিকারিক রথীন বিশ্বাস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement