সেতুর স্বাস্থ্য দেখলেন কর্তারা

দুর্গাপুরের সঙ্গে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর ও উত্তর ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম যোগাযোগকারী রাস্তায় বর্ধমান সেচখালের উপরে সেতুটি ১৯৫৬ সালে তৈরি করেছিল সেচ দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:১০
Share:

সেতু পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র

শহরের সেতুগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে সেচ দফতরের আধিকারিক, স্থানীয় বিধায়ক ও কাউন্সিলরদের নিয়ে শুক্রবার পরিদর্শন করলেন দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্তি। দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রাস্তায় বর্ধমান সেচখালের উপরের সেতু ও বীরভানপুরে ফিডার ক্যানালের উপরে ডিভিসি-র সেতু দু’টি পরিদর্শন করেন তিনি।

Advertisement

দুর্গাপুরের সঙ্গে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর ও উত্তর ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম যোগাযোগকারী রাস্তায় বর্ধমান সেচখালের উপরে সেতুটি ১৯৫৬ সালে তৈরি করেছিল সেচ দফতর। ১৯৭৮-র বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয় সেতুর। পরে সেতুটির উপর দিয়ে ১০ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সেচ দফতর। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা না মেনে ট্রাক-সহ ভারী গাড়ির যাতায়াত চলে সেতু দিয়ে, অভিযোগ এলাকাবাসীর। তার জেরে দুলতে থাকে সেতুটি।

শুধু তাই নয়, সেতুর উপরের রাস্তায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। রেলিংয়ের অংশবিশেষ ভাঙা। নীচে গাছ গজিয়েছে। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রী ও চালকদের। তবে এর পাশেই পূর্ত দফতর নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরু করেছে বছর চারেক আগে। এ দিন ওই সেতু পরিদর্শনের পরে মেয়র বলেন, ‘‘পুরনো ও নতুন, দু’টি সেতুই ঘুরে দেখেছি।’’ বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বলেন, ‘‘সেচ দফতরের আধিকারিকেরা জানান, পুরনো সেতুর কর্মক্ষমতা শেষ হয়ে যায়নি। নতুন সেতু দুর্গাপুজোর আগেই চালু করে দেওয়া যাবে বলে আশা রয়েছে। কাজেই দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’’

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে বীরভানপুরের কাছে মোটরবাইক-সহ ডিভিসি-র ফিডার ক্যানালে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। অভিযোগ, ক্যানালের উপরের সেতুর গার্ডওয়াল না থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জলে পড়ে যায় বাইকটি। এ ছাড়া সেতুর রেলিং জায়গায় জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। গার্ডওয়াল তৈরির আর্জি জানিয়ে বুধবার ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন মেয়র। যদিও ডিভিসি কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, সেতুটি বহু দিন আগেই রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যা করার করতে হবে রাজ্যকেই। এই পরিস্থিতিতে বিপদ এড়াতে পুরসভা আপাতত বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে এলাকাটি। শুক্রবার মেয়র সেই সেতুটিও পরিদর্শন করেন। পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পাকা গার্ডওয়াল খুব জরুরি। ডিভিসি তা না করলে পুরসভা এগিয়ে আসবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন