Bardhaman

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারি আবাসনে ডেকে তরুণীর সঙ্গে সহবাস! বর্ধমানে ধৃত ইঞ্জিনিয়ার

তরুণী থানায় অভিযোগ করে জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে গিয়াসের পরিচয় হয়। দু’জনের মধ্যে পরিচয় গভীর হয়। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন অভিযুক্ত। চ

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০৪
Share:

অভিযুক্ত যুবককে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ গিয়াস রেহান রেহি। কলকাতার তিলজলা থানা এলাকায় তাঁর বাড়ি। এখন তিনি বর্ধমান থানার সাধনপুর হাউসিং এস্টেটের সরকারি আবাসনে থাকেন।

Advertisement

সোমবার সকালে বর্ধমান শহরের পূর্তভবন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে সোমবারই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে সাত দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতের আইনজীবী পার্থ হাটি জামিন চেয়ে সওয়াল করে বলেন, ‘‘অভিযোগে সম্মতিতে সহবাসের কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া অভিযুক্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন এমন কথা অভিযোগের কোথাও লেখা নেই। মার্চ মাসও অতিক্রান্ত হয়নি। সে কারণে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগও সঠিক নয়।’’ সরকারি আইনজীবী অবশ্য পুলিশি হেফাজতের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে ধৃতের দু’দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম।

পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী থানায় অভিযোগ করে জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে গিয়াসের পরিচয় হয়। অভিযুক্ত পেশায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ডিভিশনের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। দু’জনের মধ্যে পরিচয় গভীর হয়। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন অভিযুক্ত। চলতি বছরের মার্চ মাসে তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তিনি অভিযুক্তের বর্ধমানের সরকারি আবাসনে যান। তাঁকে নিয়ে অভিযুক্ত উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারেও গিয়েছিলেন। বর্ধমান এবং ইটাহারে তাঁরা সহবাস করেন। এর কিছু দিন পরে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের ফোন নম্বর তিনি ব্লক করে দেন বলে অভিযোগ। সামাজমাধ্যমেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো সামাজমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অভিযুক্ত তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র, এমনকি ল্যাপটপও নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement