কাউন্সিলরের উপরে হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই ঘটনা নিয়ে আবার দলের এক কাউন্সিলর-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে উচ্চ নেতৃত্বের কাছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করছেন তৃণমূলের দুর্গাপুর ৩ ব্লক সভাপতি সুনীল চট্টোপাধ্যায়। যদিও দলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, “শাস্তির ব্যাপারে এখনও লিখিত কোনও সুপারিশ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
রবিবার সন্ধ্যায় শহরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী আক্রান্ত হন বীরভানপুর দাসপাড়ায়। তাঁর মাথা, ঘাড় ও চোখে চোট লাগে। তাঁকে প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে, পরে তাঁকে বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশের কাছে অরবিন্দবাবু অভিযোগ করেন, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাড়িয়াল এবং তাঁর অনুগামী ডিপিএলের আইএনটিটিইউসি নেতা আলোময় ঘরুইয়ের নেতৃত্বে তাঁর উপরে হামলা হয়। তৃণমূলের তরফে তাঁকে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই তাঁর উপরে হামলা হয় বলে দাবি করেন নির্দল হিসেবে নির্বাচিত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর অরবিন্দবাবু।
ব্লক সভাপতি সুনীলবাবু সোমবার বলেন, ‘‘সকলকেই দলীয় শৃঙ্খলা মানতে হবে। যা হয়েছে তা কাঙ্খিত নয়। দলীয় কর্মসূচিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলরের উপরে যে ভাবে হামলা চালানো হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্ত কাউন্সিলর-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হচ্ছে।” যদিও বিশ্বনাথবাবু এবং আলোময়বাবু— দু’জনেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিশ্বনাথবাবু বলেন, “পরিবারের লোকজনদের নিয়ে আমি মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ঘটনার সময়ে আমি শহরেই ছিলাম না।”
হামলার ঘটনায় ধৃত তৃণমূল কর্মী বাবলু রুইদাসকে সোমবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে সাত দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।