তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত গ্রামের প্রধান

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভায় যোগ দিয়ে সন্ধেয় উখরিদ গ্রামে ঢোকার মুখেই দুষ্কৃতীরা এলোপাথারি ছুরি মেরে খুন করে পরেশকে (৪৪)। খবর পেয়ে বিভিন্ন পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে অভিযুক্তদের তাড়া করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খণ্ডঘোষ শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৭ ০২:৩৮
Share:

দলের অন্দরের সেই লড়াইয়ের জেরেই বৃহস্পতিবার খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী পরেশ বাগদি—অভিযোগ গ্রামবাসীর একাংশের।

জেলা নেতৃত্বের দাবি, কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু, শুক্রবার খণ্ডঘোষের উখরিদ গ্রামে ঘুরে মালুম হল, শাসকদলের দ্বন্দ্ব এখানকার বাসিন্দাদের কারওরই অজানা নয়। দলের অন্দরের সেই লড়াইয়ের জেরেই বৃহস্পতিবার খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী পরেশ বাগদি—অভিযোগ গ্রামবাসীর একাংশের। খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যেও রয়েছেন গ্রামের তৃণমূল প্রধান এবং তাঁর অনুগামীরা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভায় যোগ দিয়ে সন্ধেয় উখরিদ গ্রামে ঢোকার মুখেই দুষ্কৃতীরা এলোপাথারি ছুরি মেরে খুন করে পরেশকে (৪৪)। খবর পেয়ে বিভিন্ন পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে অভিযুক্তদের তাড়া করে। মার খয়ে মুক্ত শেখ নামে অভিযুক্ত এক তৃণমূলকর্মী পুকুরে ঝাঁপ মারেন। পুলিশ তাঁকে তুলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।

নিহতের স্ত্রী বুদি বাগদি খণ্ডঘোষ থানায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, উখরিদেরই বাসিন্দা মতিয়ার রহমান মণ্ডল, তাঁর ছেলে হালিম, মুক্ত শেখ-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন। মতিয়ার, হালিমের উস্কানিতে মুক্তই তাঁর স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেছে বলে বুদির দাবি। খুনের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই উখরিদে যান তৃণমূলের জেলা নেতা উত্তম সেনগুপ্ত ও উজ্জ্বল প্রামাণিক। এ দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হওয়ার পরে উত্তমবাবু দাবি করেন, “কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। আমরা পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি।”

Advertisement

তৃণমূল সূত্রেই কিন্তু জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজকর্ম ও হালিমের বিরুদ্ধে দুষ্কর্মের অভিযোগ ঘিরে প্রধান মতিয়ারের সঙ্গে মতপার্থক্য ছিল উখরিদ গ্রামেরই তৃণমূল নেতা শেখ হাবিবুর রহমান ওরফে চাঁদ শেখের। বছর খানেক আগের একটি খুনের চেষ্টার ঘটনাতেও হালিম ও মুক্তর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। মতিয়ার ও চাঁদ গোষ্ঠীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই গোলমাল হয়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সভায় চাঁদ শেখের হয়ে পাঁচটি বাসে করে লোক যান। তাতে প্রধান উদ্যোগ ছিল পরেশের। কিন্তু, প্রধান একটি বাসও নিয়ে যেতে পারেনি। চাঁদ শেখের অভিযোগ, “সেই রোষেই পরেশকে খুন করা হয়েছে। আমরা চাই দোষীরা উপযুক্ত সাজা পাক। দলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানকে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর অনুগামীদের দাবি, ঘটনার সময় মতিয়ার ও হালিম সেখানে ছিলেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন