বর্ধমানের টাউন হল চত্বরের পার্ক। নিজস্ব চিত্র
বিকেলে সেখানে খেলে বেড়ানো শিশুদের কাছে বড় মনোরঞ্জন। শুধু শিশুরা নয়, এলাকার বয়স্করাও আড্ডা জমান। তাই শহরের পার্কগুলিকে সাজিয়ে-গুছিয়ে সুন্দর করে তোলায় উদ্যোগী হয়েছে বর্ধমান পুরসভা।
বর্ধমানের টাউন হলের সামনে গীতাঞ্জলী পার্কের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন করছে পুরসভা। প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকায় সেজে উঠছে পার্কটি। ভিতরে লহরের চার দিকে বসছে রেলিং, পার্কের গায়ে পড়ছে রঙের প্রলেপ। কিছু দিনের মধ্যেই নতুন সাজের এই গীতাঞ্জলী পার্ক দেখা যাবে বলে আশা পুরসভার কর্তাদের।
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮-০৯ সালে বর্ধমান আদালত চত্বরের পাশে থাকা লহরকে ঘিরে তৈরি হয় সুসজ্জিত পার্ক। ঝোপজঙ্গল পরিষ্কার করে প্রবীণদের সকাল-বিকেলে হাঁটা ও সময় কাটানোর ব্যবস্থা করা হয় এই পার্কে। বসানো হয় ছোট-ছোট গাছ, সুন্দর আলো, বসার জায়গা। লহরে নৌকাবিহারের ব্যবস্থাও করা হয়। শুরুর সময় থেকেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পার্কটি। দু’বেলা বহু মানুষ এই পার্কে আসেন। বিকেলের দিকে শিশুদের ভিড়ও জমে সেখানে। এ বার সেই পার্কের সৌন্দর্যায়ন শুরু করেছে পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, পার্কে কংক্রিটের রাস্তার বদলে বসছে ‘পেভার ব্লক’, যা দেখতে সুন্দর এবং অনেক বেশি নিরাপদ। বৃষ্টির সময়ে এই রাস্তায় পিছলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। গোটা পার্ক সেজে উঠেছে রঙের প্রলেপে। পার্কে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনার পরিকল্পনাও হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
টাউন হলের মধ্যে থাকা শিশুদের পার্কটিও ২৫ লক্ষ টাকায় সাজা হচ্ছে। গোটা পার্কটি কংক্রিটের বদলে এক বিশেষ ধরনের ম্যাট বা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এই ব্যবস্থার ফলে শিশুরা পার্কে পড়ে গেলে চোট-আঘাত লাগবে না বলে পুরসভার কর্তাদের দাবি। সেই সঙ্গে পার্ক পরিষ্কার-পরিছন্ন ও দেখতে সুন্দর লাগবে বলেও জানান তাঁরা।
বর্ধমানের পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত জানান, দু’টি প্রকল্পে শহরের বেশ কিছু পার্ক সাজা হয়েছে। এর আগেও শ্যামসায়ের ও রথতলায় কয়েকটি পার্কে সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। এর পরে শহরের ১২, ১৭ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডেও পার্ক সংস্কারের উদ্যোগ হচ্ছে বলে পুরসভা জানায়।