রুটের বাস কম, দুর্ভোগ যাত্রীদের

ভোগান্তির আশঙ্কা ছিলই। বেলা বাড়তে বাসের জন্য অপেক্ষা, দীর্ঘ লাইন দেখা গেল জেলা জুড়েই। মঙ্গলবারই তৃণমূল নেতারা দাবি করেছিলেন প্রায় দেড় হাজার বাসে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া হবে সিঙ্গুরের সভায়। বুধবার সকালে ততটা বোঝা না গেলেও বেলায় স্পষ্ট হল সেই দুর্ভোগের ছবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা ও কাটায়া শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share:

ভোগান্তির আশঙ্কা ছিলই। বেলা বাড়তে বাসের জন্য অপেক্ষা, দীর্ঘ লাইন দেখা গেল জেলা জুড়েই। মঙ্গলবারই তৃণমূল নেতারা দাবি করেছিলেন প্রায় দেড় হাজার বাসে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া হবে সিঙ্গুরের সভায়। বুধবার সকালে ততটা বোঝা না গেলেও বেলায় স্পষ্ট হল সেই দুর্ভোগের ছবি।

Advertisement

কাটোয়া বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, বাসস্ট্যান্ড থেকে বর্ধমান, মালডাঙা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের ৫০টি বাস নেওয়া হয়েছে।ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে। সালার যাওয়ার জন্য প্রায় দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়েছিলেন জয়দেব সর্দার। মন্তেশ্বর যাওয়ার জন্যও বাসের অপেক্ষা করতে দেখা যায় এক দল পড়ুয়াকে। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ৪০টি বাসে কয়েক হাজার কর্মী নিয়ে যান। পুরপ্রধান অমর রামও ২০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে সিঙ্গুর যান। এ ছাড়াও প্রতিটা অঞ্চল থেকে একটি করে বাস ও গাড়ি ভাড়া করে কর্মীরা গিয়েছেন। মঙ্গলকোটের ১৫টা অঞ্চল থেকে ১৫টা বাস ও কেতুগ্রাম ২ ব্লকের ৭টা অঞ্চল থেকে ৭টি বাস গিয়েছে বলে জানা যায়।

বাস না থাকায় ভোগান্তির শিকার কালনার বাসিন্দারাও। কালনা বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন রুটে প্রায় শ’খানেক বাস যাতায়াত করে। এ দিন অবশ্য বেশির ভাগ বেসরকারি বাস সিঙ্গুর রওনা দেয়। বেলা দশটার পরে দুর্ভোগ শুরু হয়। জানা গিয়েছে, কালনা-বর্ধমান রুটে ৩০টি বাস অন্য দিন যাতায়াত করলেও এ দিন ১০টি বাস চলেছে। কালনা-মেমারি রুটে ৮টির জায়গায় চলেছে ৩টি বাস। কালনা-বৈচি রুটেও বাস ছিল হাতেগোনা। স্বাভাবিক ভাবেই মুশকিলে পড়েন যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ বাসস্ট্যান্ডে বসে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের। সুলতানপুরের বাসিন্দা কাকলি ক্ষেত্রপাল বলেন, ‘‘সকালে ঠিকঠাক বাস চলছিল। পুজোর বাজার করতে কালনায় এসেছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে ঘণ্টা দুয়েক বসে থাকতে হয়েছে।’’ বাসের বদলে বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় প্রচুর অটো এবং টোটো দেখা যায়। যদিও দূরপাল্লার যাত্রীদের সমস্যা মেটেনি তাতে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন