কিছু দিন আগেই শিশু চুরির চেষ্টার ঘটনায় ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছিল। এ বার রাতে হাসপাতাল থেকে রাস্তায় বেরিয়ে মোটরবাইকের ধাক্কায় এক রোগীর মৃত্যুতে ফের সেই অভিযোগ উঠল কালনা হাসপাতালে। কী ভাবে নজর এড়িয়ে রোগী হাসপাতালের বাইরে গেলেন, প্রশ্ন পরিজনদের।
‘সুপার স্পেশ্যালিটি’ তকমা পাওয়া সময়ের অপেক্ষা কালনা হাসপাতালের। সেই হাসপাতালে নজরদারির এমন হাল কেন, সদুত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। বৃহস্পতিবার রাতে কাঁধে ব্যথা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন কালনার কৃষ্ণদেবপুরের রাজবংশী এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর সাঁতরা (৪২)। শুক্রবার তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন বৃদ্ধা মা সুলতাদেবী। পরিবারের দাবি, তিনি ঘুমোলেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান শঙ্করবাবু। শনিবার ভোরে এসটিকেকে রোডে ধর্মডাঙা মোড়ে তাঁকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। শঙ্করবাবুর ছেলে সমীরণ বলেন, ‘‘শুনেছি, একটি মোটরবাইক বাবাকে ধাক্কা মেরে পালায়।’’ শঙ্করবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত ঘোষণা করা হয়। সমীরণ কালনা থানায় হাসপাতালে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ করেন।
হাসপাতালে বাইরে যাওয়ার চারটি দরজা। তবে রাতে শুধু জরুরি বিভাগের দরজাটিই খোলা থাকে। সেখানে এক জন নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। রয়েছে সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরাও। তা সত্ত্বেও কী ভাবে শঙ্করবাবু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেলেন, প্রশ্ন পরিজনদের। শনিবার সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘রাতে রক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হবে। কী ভাবে ওই রোগী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখব।’’