টপকে পার। নিজস্ব চিত্র
নিকাশির সমস্যা সমাধানে তৈরি হয়েছিল কালভার্ট। কিন্তু সেটি ভেঙে গিয়ে এখন যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ, কাটোয়া ২ ব্লকের দোনা গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কালভার্টটি সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করুই পঞ্চায়েতের মেঝিয়ারি হাটতলা থেকে দোনা ঢোকার মুখে নয়ানজুলির উপরে ১৮ ফুট লম্বা ও চার ফুট চওড়া কালভার্টটি তৈরি করা হয়। কিন্তু কালভার্টটি চওড়ায় কম হওয়ায় এবং পলি জমায় ফি বছর বর্ষায় নিকাশির সমস্যা হতো। বাসিন্দাদের কাছে এই কথা জানতে পেরে গত ২২ এপ্রিল কালভার্ট চওড়া করার কাজ শুরু করে স্থানীয় পঞ্চায়েত।
বাসিন্দাদের দাবি, কাজ শুরুর সময়ে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে তা শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেয় প্রশাসন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা অচিন্ত্য মণ্ডল, কাঞ্চন চৌধুরীদের অভিযোগ, ‘‘সংস্কারের কাজ শেষ না হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।’’ মালডাঙা রাস্তায় পৌঁছতে বাজারের দিক দিয়ে আরও কিছুটা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে জানান বাসিন্দারা। অনেকে আবার সময় বাঁচাতে কালভার্টটির উপরে দিয়েই যাতায়াত করছেন কোনও রকমে। কিন্তু এর জেরে সমস্যায় পড়ছেন সকলেই। এ ছাড়া কালভার্টটির সংস্কার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। বংশগোপাল দত্ত, সোমনাথ দত্তদের মতো কয়েক জন বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘কালভার্টটি অন্তত ৫ ফুট চওড়া ও ছ’ফুট উঁচু করা হোক। বর্তমানে ভাঙাভাঙি করেও পুরনো মাপটিই থাকছে। এতে সমস্যা মিটবে না।’’ যদিও করুই পঞ্চায়েতের প্রধান কল্যাণ ভারতী বলেন, ‘‘সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কালভার্ট সংস্কারের কাজ শেষ হবে।’’