Purba Bardhaman

বাইক চুরি করে ‘স্টার্ট’ দিতে পারেনি চোর, তিন দিন পর আনতে এসে পুলিশের হাতে পাকড়াও কাটোয়ার যুবক

যে জায়গা থেকে বাইকটি চুরি গিয়েছিল, সেখান থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের ধারে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পিছনে জঙ্গল থেকে বাইকটি উদ্ধার করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ২০:৫০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বাইক চুরি করে তাতে ‘স্টার্ট’ করতে না পেরে ঠেলতে ঠেলতে একটি জায়গায় রেখে দিয়েছিল চোর। পরে সুযোগ বুঝে বাইক নিয়ে পালানোর ছক ছিল। কিন্তু সে গুড়ে বালি। কয়েক দিন পরে পুলিশের হাতে ধরা গেল রাজু দাস নামে ওই যুবক।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার পুলিশ ২৮ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে চুরির চেষ্টার অভিযোগ। ধৃতের বাড়ি কেতুগ্রামের বাজারপাড়া এলাকায়। তাকে বর্ধমান কাটোয়া রাজ্যসড়কের পাশ থেকে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কাটোয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার গত ২২ জুলাই রাতে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে থেকে একটি বাইক চুরি হয়। পরের দিন বাইকমালিক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ় সংগ্রহ করে পুলিশ। শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাতে তারা চুরি যাওয়া বাইকের সঙ্গে চোরকেও ধরেছে।

যে জায়গা থেকে বাইকটি চুরি গিয়েছিল, সেখান থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের ধারে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পিছনে জঙ্গল থেকে বাইকটি উদ্ধার হয়। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে ওই বাইকটি চুরির দিন থেকেই সেখানে রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে বাইকটি নিতে এসেছিল রাজু। তখনই পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে। অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে চুরির পর বেশ কয়েক বার কিক প্যাডেলে লাথি মেরেও বাইকটি ‘স্টার্ট’ করতে পারেনি অভিযুক্ত। তাই প্রায় আধ কিলোমিটার পথ বাইকটি ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যায় চোর। রাজ্যসড়কের ধারে ওই নির্জন জায়গায় রেখে চলে যায় সে। ভেবেছিল, সময় করে এক দিন চুরি করা বাইকটি নিয়ে যাবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, চুরির পর কেতুগ্রামে ফিরে এক মেকানিকের দ্বারস্থ হয় রাজু। তার কাছে হাতেকলমে শিখে নেয় কী ভাবে দুটি তারকে জুড়ে বাইক ‘স্টার্ট’ করা যায়। তার পরেই সে আসে চুরি করা বাইকটিকে জঙ্গল থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে। সিসিটিভি দেখে ওই বাইকের হদিস আগেই পেয়ে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেখান থেকে তখনই বাইকটি উদ্ধার করেনি তারা। কারণ, পুলিশ আগে থেকেই অনুমান করেছিল চোর ঠিকই এক সময় ওই বাইক নিতে আসবে। তাই বাইকটির উপর নজর রাখছিল তারা। বৃহস্পতিবার রাতে রাজু বাইকটি নিতে আসে। ‘স্টার্ট’ করে চম্পট দেওয়ার ঠিক আগেই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement