এই গাড়িতে করেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ব্যবসায়ীকে। ফাইল চিত্র
অন্য দিনের মতোই ভোরে নাকাবন্দি চলছিল ঝাড়খণ্ড সীমানায়। এক এএসআই-এর নেতৃত্বে জনা ছয়েকের দল ছিল দায়িত্বে। কলকাতার নম্বর লেখা একটি গাড়ি আসতে দেখে দাঁড় করিয়েছিলেন তাঁরা। তবে গো়ড়ায় বিশেষ সন্দেহ হয়নি। কিন্তু, গাড়ি তল্লাশি হবে শুনে চালক উসখুস করায় প্রশ্ন তৈরি হয় তাঁদের মনে। স্টিয়ারিং ঘোরানোর চেষ্টা করতেই তাই এক সিভিক ভলান্টিয়ার জানলা দিয়ে হাত গলিয়ে খুলে নেন গাড়ির চাবি।
তার ফলেই কলকাতার ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়ার ছক ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে, দাবি পুলিশের। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ সালানপুরের দেন্দুয়ায় ওই গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ী মনোজ খান্ডেলওয়ালকে। ধরা পড়ে যায় গা়ড়িটির চালক-সহ পাঁচ জন। সালানপুর থানার পুলিশের এই কাজের জন্য পুলিশ কমিশনার লক্ষীনারায়ণ মিনা পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তল্লাশির সময়ে ওই গাড়ির পিছনের আসনে মুখে কাপড় ঢা়কা দেওয়া ব্যবসায়ীকে দেখে ঘটনা আঁচ করেন এএসআই মানিকচন্দ্র মণ্ডল-সহ নাকাবন্দির দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা। তাঁরা খবর দেন সালানপুর থানায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশের আধিকারিকেরা। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস জানান, যে গাড়িটিতে ব্যবসায়ীকে কলকাতা থেকে আনা হয়েছে সেটি একটি ভ্রমণ সংস্থার ভাড়া গাড়ি। পুলিশ সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীরা জেরায় তাদের জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের মিহিজামে পৌঁছে ব্যবসায়ীকে অন্য একটি গাড়িতে তোলার পরিকল্পনা ছিল। তবে ঝাড়খণ্ডে ঢোকার চার কিলোমিটার আগেই নাকাবন্দিতে ধরা পড়ে যায় তারা।