Coronavirus

নজরদারিতে দুর্গাপুরে ‘ড্রোন’ ওড়াল পুলিশ

পাড়ার ভিতরে এলাকায় ঢোকা সব রাস্তাঘাটে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাজারেও দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোকআভেন শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৩:২০
Share:

বাঁ দিকে, সাফ হয়নি দুর্গাপুর বাজার এলাকা। ডান দিকে, ব্যারিকেডের ফাঁক গলে যাতায়াতের চেষ্টা। নিজস্ব চিত্র

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী-সহ তাঁর পরিবারের মোট ছ’জন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর পরেই বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। ব্যবসায়ীর যেখানে দোকান রয়েছে, সেই দুর্গাপুর বাজার বুধবার থেকে এক সপ্তাহ বন্ধের কথা জানিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি। কোকআভেন থানা এলাকায় ব্যবসায়ীর বাড়ির আশপাশের এলাকা গণ্ডিবদ্ধ (‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি, ড্রোন-নজরদারিও চালায় পুলিশ-প্রশাসন।

Advertisement

এ দিন সকালে দেখা যায়, ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা বাজার ও ওই ব্যক্তির বাড়ির এলাকা। পাড়ার ভিতরে এলাকায় ঢোকা সব রাস্তাঘাটে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাজারেও দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গিয়েছে। রাস্তাঘাট ফাঁকা। এ দিন সকালে ফের পুরো বাজার জীবাণুমুক্ত করা হয়। তবুও কেউ বিধি না মেনে বাইরে বেরিয়েছেন কি না, তা দেখতে ব্যবসায়ীর পাড়ায় এবং দুর্গাপুর বাজার এলাকায় পুলিশ ‘ড্রোন’-নজরদারি চালায়। তবে রাতে দোকান বন্ধের সময়ে ব্যবসায়ীরা যে বর্জ্য রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় জড়ো করে রেখে যান, সকালে তা সাফ করা হয়। এ দিন অবশ্য বাজার সাফ করা হয়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দুর্গাপুর পুরসভা।

এ দিকে, লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের বেশির ভাগই গিয়েছিলেন সেন মার্কেটে। কেউ-কেউ আবার যান মামরা বাজারেও। ফলে, সেন মার্কেটে অন্য দিনের থেকে এ দিন বেশি ভিড় নজরে এসেছে। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে কড়াকড়ি বজায় রাখে পুলিশ-প্রশাসন। বাসিন্দারা জানান, আনাজ বাজার নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। তবে, দুর্গাপুর বাজার বন্ধ থাকায় মুদিখানা, জামা-কাপড় সহ অন্য সামগ্রীর কেনাকাটা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। কারণ, এ সব সামগ্রী কিনতে গেলে যেতে হবে কয়েক কিলোমিটার দূরের মামরা বাজার অথবা মায়াবাজারে। যদিও বিশ্বনাথ রুজ, সাধন দে-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বলেন, ‘‘লকডাউন শুরু হওয়ার পরে থেকে সবাই কম-বেশি কয়েক দিনের সামগ্রী ঘরে মজুত রাখছেন। আপাতত, তাই সে ভাবে সমস্যা হচ্ছে না। যদি সাত দিন পরে দোকানপাট খোলে, তা হলে খুব একটা অসুবিধা হবে না।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর বাড়ির আশপাশে থাকা বাসিন্দারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিজ খরচে লালারস পরীক্ষা করানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। তাঁরা জানান, খরচ পুরসভা বহন করবে কি না তা জানতে তাঁরা বুধবার বৈঠক করেন দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কিন্তু চন্দ্রশেখরবাবু তাঁদের তেমন কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি বলে দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের। চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, ‘‘সরকারি নিয়মে যা-যা করা দরকার, পুরসভা তা করছে।’’ পাশাপাশি, ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে এ দিন সকালে আনাজ, বিস্কুট-সহ অন্য খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন চন্দ্রশেখরবাবু ও তাঁর সঙ্গীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন