প্রায় ছ’মাস আগে বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন জামাই। তার পরে সেই রাতেই তাঁর দেহ বাড়ি ফেরে। তড়িঘড়ি তাঁকে কবরও দিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেন মৃতের শ্বশুর। তার ভিত্তিতে তদন্তের প্রয়োজনে শনিবার কালনার রামেশ্বর গ্রামে গিয়ে কবর থেকে সইফুদ্দিন শেখ (৩২) নামে এক যুবকের দেহ তুলল পুলিশ।
আদালতের অনুমতি নিয়ে এ দিন সকালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহটি কবর থেকে তোলেন পুলিশকর্মীরা। মৃতের শ্বশুর পান্না মণ্ডল সম্প্রতি আদালতে অভিযোগ করে জানান, সইফুদ্দিন মুম্বইতে গয়নার কারিগরের কাজ করতেন। প্রায় সাড়ে ছ’ মাস আগে বাড়ি ফেরেন তিনি। অভিযোগ, গত বছর ২৪ অগস্ট সকালে নামে গ্রামেরই এক যুবক সইফুদ্দিনকে ডেকে নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে কোথাও যায়। দিনভর খোঁজ না মেলার পরে গ্রামেরই এক গাড়ির চালক সইফুদ্দিনের দেহ নিয়ে বাড়ি ফেরে। পান্না এ দিন দাবি করেন, ‘‘মেয়ের বাড়িতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, জামাইয়ের কানের পাশে ও বুড়ো আঙুলে ক্ষত ছিল। জামাইকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে।’’
কী ভাবে মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। সইফুদ্দিনের কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তাঁর আত্মীয়রাও। অজগর আলি শেখ, শেখ রাইহান নামে দু’জন আত্মীয় বলেন, ‘‘কী ভাবে সইফুদ্দিন মারা গিয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটও মিলছে না।’’ যদিও মোজাম্মেলের দাবি, গাছের সঙ্গে মোটরবাইকের ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সইফুদ্দিনের। যদিও গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, মোটরবাইকটিতে কোনও দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। সইফুদ্দিনের স্ত্রী সালমা বিবিও এ দিন বলেন, ‘‘সকালে বেরিয়ে কী ভাবে একটা জলজ্যান্ত মানুষ মারা যান, বুঝতে পারিনি।’’
এসডিপিও প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’