কালভার্ট ভেঙে রাস্তা বেহাল

তৈরি হওয়ার বছর খানেকের মধ্যেই কালভার্ট ভেঙে বেহাল হয়ে পড়েছে আউশগ্রামের গোবিন্দপুর থেকে কালীদহ পর্যন্ত রাস্তা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ধমান-সিউড়ি রাজ্য সড়কের স‌ংযোগকারী রাস্তা হিসেবে ওই রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২৫
Share:

ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র।

তৈরি হওয়ার বছর খানেকের মধ্যেই কালভার্ট ভেঙে বেহাল হয়ে পড়েছে আউশগ্রামের গোবিন্দপুর থেকে কালীদহ পর্যন্ত রাস্তা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ধমান-সিউড়ি রাজ্য সড়কের স‌ংযোগকারী রাস্তা হিসেবে ওই রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পিচ উঠে, গর্ত হয়ে এখন হাল এমনই যে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বারবার আবেদনের পরেও রাস্তা সারেনি বলে তাঁদের দাবি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটি হওয়ার পরে উক্তা ও বেরেন্ডা পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক গ্রামের যোগাযোগ তৈরি হয়। ছোট-বড় গাড়ি তো বটেই ভেদিয়া থেকে বর্ধমান বাস চলাও শুরু হয়। কিন্তু দেখভালের অভাবে পুরোটাই বেহাল এখন। কোথাও পিচ উঠে গর্ত হয়ে গিয়েছে, কোথাও কালভার্টের গার্ডওয়াল ভেঙে গাড়ি চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। বেরেন্ডা পঞ্চায়েতের প্রধান রুহুল আমিন মণ্ডলের দাবি, ওই রাস্তার উপর বেরেন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি কালভার্ট ভেঙে রাস্তার মাঝে গর্ত হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে অসুবিধায় পড়েছেন সিলুট, বসন্তপুর, বাবুরবাঁধ, বিজয়পুর, শ্রীকৃষ্ণপুর, জয়কৃষ্ণপুর, বেলুটি, কুরুম্বার মতো গ্রামের বাসিন্দারা। বেরেন্ডা গ্রামের জলদবরণ দেবাংশির দাবি, দীর্ঘদিন এই এলাকা উপেক্ষিত ছিল। কোনও উন্নয়ন হয়নি, যদিও বা হল তাও এই হাল। অন্ধকারে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। পিচকুরি গ্রামের মোসলেম শেখের আবার দাবি, পিচকুরির কাছে কাঁদরের উপর ওই রাস্তার গার্ডওয়াল ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টি হলে পুরোটাই ধসে পড়বে বলেও তাঁর আশঙ্কা।

ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য শেখ সালেক রহমানের দাবি, ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। বিষয়টি প্রশাসনিক মহলে জানানো হয়েছে। আউশগ্রাম ১ এর বিডিও চিত্তজিৎ বসুর আশ্বাস, ‘‘রাস্তার ব্যাপারে একটা অভিযোগ পেয়েছি। রাস্তা সারানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন