পদত্যাগ চেয়ে পোস্টার, বিতর্ক

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের পদ ছাড়ার দাবিতে বেনামে পোস্টার টাঙানো নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে। মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাটি ক্যাম্পাসে সহ-উপাচার্যের ঘরের দরজায় ওই পোস্টার সাঁটা থাকতে দেখা যায়। তবে কে বা কারা পোস্টার মেরে গিয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউই। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য উপাচার্য ও কর্মসচিবের নির্দেশে ওই দুটি পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৬ ০১:২২
Share:

এই পোস্টারেই চাঞ্চল্য ছড়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের পদ ছাড়ার দাবিতে বেনামে পোস্টার টাঙানো নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে। মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাটি ক্যাম্পাসে সহ-উপাচার্যের ঘরের দরজায় ওই পোস্টার সাঁটা থাকতে দেখা যায়। তবে কে বা কারা পোস্টার মেরে গিয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউই। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য উপাচার্য ও কর্মসচিবের নির্দেশে ওই দুটি পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়।

Advertisement

পরে সহ-উপাচার্য ষোড়শীমোহন দাঁ বলেন, ‘‘প্রতি দিনের মতো মঙ্গলবারও ১০টা ১০ নাগাদ নিজের চেম্বারে ঢুকতে গিয়ে দেখি দরজার দুই পাশে দুটি পোস্টার সাঁটা। তাতে আমাকে উদ্দেশ্য করে একটিতে ‘প্রো-ভিসি গো ব্যাক’ এবং অন্যটিতে ‘অবিলম্বে সহ-উপাচার্যকে পদ ছাড়তে হবে’ লেখা রয়েছে। আমি ঘরে ঢুকে বিষয়টি উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার এবং রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজাকে জানাই।’’ পরে রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসার দীপেন্দুনাথ দে ওই পোস্টার খুলে ফেলেন। তবে কে বা কারা ওই পোস্টার সাঁটিয়েছে তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন রাজবাটিতে নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও তাদের এড়িয়ে একেবারে সহ-উপাচার্যের ঘরে পোস্টার সাঁটানোয় নিরাপত্তা, নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে এস্টেট অফিসার দীপেন্দুনাথ দে-র দাবি, কর্মচারীরা সাধারণত ১০টার আগে অফিসে আসেন না। সকালে অফিস সাফ করার সময়ে কেউ লুকিয়ে এ কাজ করতে পারে বলে তাঁর অনুমান।

Advertisement

ক্যাম্পাসের মধ্যেও নানা দুর্নীতির কথা বলে একটি ফ্লেক্স টাঙানো রয়েছে। তাতে আধিকারিকের নাম না করে কৃষ্ণসায়র থেকে মাছ চুরি করার অভিযোগ, এক জায়গা থেকে অবসরকালীন টাকার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইনে নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। একাংশ কর্মীদের দাবি,আকারে ইঙ্গিতে সহ-উপাচার্যের বিরুদ্ধেই ওই অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এই প্রসঙ্গে ষোড়শীবাবু কিছু বলতে চাননি। কথা বলতে চাননি অন্য আধিকারিকেরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ইউনিয়নের সম্পাদক বুদ্ধদেব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যেই এ কাজ করুক তা ভাল হয়নি। কারা করেছে তার উল্লেখ করাও উচিত ছিল।’’ আর তৃণমূলের সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সীতারাম মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘আমাদের সংগঠনের কেউ এই ঘটনায় যুক্ত নন। আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন