নির্মল অভিযানের অবস্থা দেখে ক্ষোভ সভাধিপতির

সম্প্রতি বর্ধমানের সব ব্লককেই ‘নির্মল’ বলে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এ বার রাজ্য স্তরে বর্ধমান জেলাকে ‘নির্মল জেলা’ ঘোষণা করার পালা। সে জন্য রাজ্য থেকে সরকারি প্রতিনিধি দল বারবার আসছে জেলায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৯
Share:

সম্প্রতি বর্ধমানের সব ব্লককেই ‘নির্মল’ বলে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এ বার রাজ্য স্তরে বর্ধমান জেলাকে ‘নির্মল জেলা’ ঘোষণা করার পালা। সে জন্য রাজ্য থেকে সরকারি প্রতিনিধি দল বারবার আসছে জেলায়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে ‘নির্মল বাংলা’ অভিযানে পিছিয়ে রয়েছে আসানসোল ও দুর্গাপুর পুর এলাকা। আসানসোল পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পুর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন সভাধিপতি পুরসভার আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘জেলার এই দুই পুর এলাকায় নির্মল অভিযান আশানুরূপ নয়। আসানসোল-দুর্গাপুরকে জেলা ঘোষণা করার আগেই সেই কাজ শেষ করতে হবে।’’

বুধবার দুর্গাপুরে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে এই অভিযানের বিষয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। তিনিও কাউন্সিলরদের কাজে তৎপরতার নির্দেশ দেন বলে দুর্গাপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলাশাসক সম্প্রতি এক নির্দেশে জানিয়েছিলেন, ৩১ মার্চের মধ্যে জেলাকে ‘নির্মল’ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ দিন আসানসোলে তিনি পুরসভার আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শহরে ৪৭ হাজার শৌচালয় তৈরি করে ফেলতে হবে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইপাসের দু’পাশ, জামুড়িয়ার নিঘা, আসানসোলের রবীন্দ্র ভবন লাগোয়া কয়েকটি এলাকা, রেলপাড়, কুলটির রানিতলা, ডিসেরগড়-নিয়ামতপুরে এখনও সাফাই-অভিযান আশানুরূপ নয়। পুর এলাকায় এখনও পর্যন্ত শৌচাগার তৈরি হয়েছে মাত্র চার হাজার।

প্রশাসনের কর্তারা জানান, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই জেলা পরিদর্শন শেষে আমলারা রাজ্য স্তরে রিপোর্ট জমা দেবেন। তা দেখে জেলাকে ‘নির্মল’ ঘোষণা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই পরিস্থিতিতে সরকারি স্তরে সাফাই অভিযানে যাতে খামতি না থাকে, সে জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সপ্তাহভর কর্মসূচি নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তার অঙ্গ হিসেবে কালনায় ব্লক অফিসে ঝাঁটা হাতে আবর্জনা সাফাই করতে দেখা যায় জেলা সভাধিপতিকেও। এর পরেই বুধবার দুর্গাপুরে সাফাইয়ের কাজ তদারকি নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেলাশাসক।

আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির যদিও আশ্বাস, ‘‘বিষয়টি নিয়ে ১০৬ জন কাউন্সিলরের সঙ্গেই আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন