প্রতীকী ছবি।
গভীর রাতে তারস্বরে বাজছিল সাউন্ডবক্স। সঙ্গে ফাটছিল পটকা। কিছু যুবকের এমন আচরণের প্রতিবাদ করতে গেলে একটি পরিবারের চার জনকে মারধরের অভিযোগ উঠল কালনায়। তাঁদের মধ্যে দু’জন কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অভিযুক্তেরা অধরাই।
কালনা শহরের মধুবন এলাকার বধূ গুলু দাস জানান, সোমবার রাতে তাঁর বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ছিল। সেই কাজকর্ম সেরে তাঁরা ঘুমোতে গিয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে কয়েকদিন অনিয়মের জেরে শরীরও ভাল ছিল না। রাত ১২টা নাগাদ হঠাৎ সাউন্ডবক্সের আওয়াজে অসুবিধায় পড়েন। বাইরে বেরিয়ে জানতে পারেন, মহালয়া উপলক্ষে কয়েকজন যুবক তীব্র স্বরে বক্স বাজিয়ে ফূর্তি করছে। সেই সঙ্গে বাজি ফাটানোও শুরু হয়।
গুলুদেবী অভিযোগ করেন, তিনি, তাঁর স্বামী স্বপন দাস এবং দুই ছেলে শিবশঙ্কর ও বিশ্বনাথ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বক্সের আওয়াজ কমাতে ও বাজি পোড়ানো বন্ধ করতে বলেন ওই যুবকদের। তাতে খেপে ওঠে ওই যুবকেরা। তারা জানিয়ে দেয়, আওয়াজ কমানো হবে না। এ নিয়ে বচসা বাধলে ওই যুবকেরা তাঁদের কিল, চড়, ঘুষি মারতে শুরু করে বলে গুলুদেবীর অভিযোগ। তাঁর ও শিবশঙ্করের নাকে চোট লাগে। তাঁদের দু’জনকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গুলুদেবী বলেন, ‘‘ওদের শুধু আওয়াজ কমাতে বলেছিলাম। তাতে এ ভাবে হামলা মুখে পড়তে হবে ভাবতে পারিনি!’’ কালনা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শিবশঙ্করের কথায়, ‘‘ওদের সঙ্গে কথা বলার মাঝে আচমকা জোরে ঘুষি মারে। তাতে আমার নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছে।’’ ওই যুবকেরা মদ্যপ ছিল বলে তাঁদের দাবি। তবে যুবকদের পরিচয় তাঁরা জানাতে পারেননি। গোটা ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁরা। কালনা থানা জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।