সত্তর গ্রাম

ঘরে ফেরাতে আর্জি সোশ্যাল মিডিয়ায়

ঘরছাড়া সমর্থকদের ফেরাতে বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে দরবার করেছিলেন সিপিএম নেতারা। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ সিপিএমের। শেষমেশ জামুড়িয়ার সত্তর গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরাতে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হলেন সিপিএম নেতা গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৬ ০১:১১
Share:

গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের পোস্ট।

ঘরছাড়া সমর্থকদের ফেরাতে বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে দরবার করেছিলেন সিপিএম নেতারা। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ সিপিএমের। শেষমেশ জামুড়িয়ার সত্তর গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরাতে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হলেন সিপিএম নেতা গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

সিপিএমের অভিযোগ, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ওই গ্রামের বাউরিপাড়ার ৭৭ জন বাম সমর্থক ঘরছাড়া। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থার দাবিতে গত ২০ ও ২১ মে জামুড়িয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খান ও অজয় জোনাল লোকাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দত্ত প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। ১ জুন প্রাক্তন সাংসদ বংশোগোপাল চৌধুরী ও পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ফের ফোনে প্রশাসনের কর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানান।

কিন্তু বারবার আবেদনেও কাজের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর ২ জুন গৌরাঙ্গবাবু গ্রামের অবস্থা জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে জামুড়িয়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন গৌরাঙ্গবাবু। তাঁর আরও দাবি, ‘‘সমস্ত বাড়িতে ব্যাপক লুঠপাট হয়েছে।’’ এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশ কমিশনারকে গ্রাম-পরিদর্শনের জন্যও আবেদন জানান তিনি। মনোজবাবুর অভিযোগ, ১৯ মে ফলপ্রকাশের পরেই ওই গ্রামে দুগাই বাউরি নামে এক পোলিং এজেন্ট পরিবারশুদ্ধ গ্রাম ছাড়া হন। ঘরে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। সিপিএমের দাবি, দলের তরফে ত্রিপল দেওয়া হলেও বাড়িতে থাকতে পারেননি দুগাইবাবু। এ ছাড়াও ওই পাড়ার প্রায় ৩৬টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্যামাপদ বাউরি, মিঠুন বাউরি, মানিক বাউরি, ত্রাবণ বাউরি-সহ পাড়ার বাম সমর্থকেরা সকলেই বাড়িছাড়া। শুধুমাত্র কয়েক জন বৃদ্ধ পাড়ায় থেকে গিয়েছেন। বাউরিপাড়ার এক বাসিন্দা জানান, ‘‘সিপিএম সমর্থকদের বাড়িগুলিতে কয়েকজন বৃদ্ধ রয়েছেন। বয়সে বেশি হওয়াতেই হয়তো তাঁরা শাসক দলের সন্ত্রাস থেকে ছাড় পেয়েছেন।’’ এক বৃদ্ধ জানান, ভয়ে ছেলে-বউয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগটুকুও করা যাচ্ছে না।

Advertisement

ফল প্রকাশের পরে জামুড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের অভিযোগ, কোনও ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কেউ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা করা হবে। পুরো ঘটনা শুনে তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘কেউ বাড়ি ফিরতে চাইলে যেন বাধা না দেওয়া হয়। গ্রামের নেতাদের বিষয়টি বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন