Durgapur

মিল্ক কমিশনারকে ঘিরে বিক্ষোভ

কয়েক বছর বন্ধ থাকার পরে ২০১৭-য় ডেয়ারিটি ফের চালু হয়। উৎপাদনের ভার দেওয়া হয় মাদার ডেয়ারিকে। ২০১৮-র অক্টোবরে বাণিজ্যিক ভাবে আইসক্রিম উৎপাদন শুরু করে সংস্থা। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় রবিবার রাত থেকে উৎপাদন বন্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২০ ০২:৪৩
Share:

দুর্গাপুরে মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

কয়েক লক্ষ টাকা বকেয়া বিল না মেটানোয় দুর্গাপুরের স্টেট ডেয়ারির বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেয় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। এর ফলে, মঙ্গলবার পর্যন্ত মাদার ডেয়ারির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে সেখানে। বিদ্যুৎহীন হয়ে যায় ডেয়ারির আবাসন এলাকাও। মঙ্গলবার রাজ্যের মিল্ক কমিশনার কদম সিংহ ডেয়ারি পরিদর্শনে গেলে, তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

কয়েক বছর বন্ধ থাকার পরে ২০১৭-য় ডেয়ারিটি ফের চালু হয়। উৎপাদনের ভার দেওয়া হয় মাদার ডেয়ারিকে। ২০১৮-র অক্টোবরে বাণিজ্যিক ভাবে আইসক্রিম উৎপাদন শুরু করে সংস্থা। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় রবিবার রাত থেকে উৎপাদন বন্ধ। ডেয়ারি আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি, বেতন থেকে বিদ্যুৎ বিল কাটা হয়। তা হলে ডেয়ারির সঙ্গে কেন আবাসন এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা হবে, এই প্রশ্নে ডেয়ারির কার্যালয়ের সামনে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তাঁরা। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দাবি, এক বছর আগে প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকা বিল বকেয়া ছিল। এখন বকেয়ার পরিমাণ আরও বেড়েছে। বারবার বলেও ফল না হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন
করা হয়েছে।

সোমবার রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মাদার ডেয়ারির চিফ জেনারেল ম্যানেজার ও মিল্ক কমিশনার দুর্গাপুরে আসবেন। সেই মতো এ দিন ডেয়ারির আবাসন এলাকায় পরিদর্শনে গেলে মিল্ক কমিশনার কদমবাবুর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশ। ওল্ড ডেয়ারি কলোনির বাসিন্দা দ???? ???,??????? ???,????????? ?????? য়াময় কেশ, সুনীতা পাল, সত্যবালা পালেরা বলেন, ‘‘হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছি আমরা। দ্রুত বিদ্যুৎ সং‌যোগ দিতে হবে।’’ পাশাপাশি, আবাসন সংস্কারেরও দাবি জানানো হয়। শেষমেশ, কোকআভেন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

Advertisement

সমস্যা মেটাতে মিল্ক কমিশনার কদম সিংহ বৈঠক করেন মাদার ডেয়ারির আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানে ডাকা হয় আবাসিকদেরও। বৈঠকের পরে মিল্ক কমিশনার বলেন, ‘‘আবাসিকদের সমস্যা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।’’ মাদার ডেয়ারি কর্তৃপক্ষ জানান, প্ল্যান্টের ও আবাসন এলাকার বিদ্যুতের লাইন আলাদা করার জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে বলা হয়েছে।

ডেয়ারির একটি কর্মী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চিত্তরঞ্জন দাস জানান, ডেয়ারিতে কর্মীর সংখ্যা ৫৫ জন। ওল্ড ডেয়ারি কলোনি ও নিউ ডেয়ারি কলোনিতে যথাক্রমে ২০টি ও ১৫টি পরিবার থাকে। বাকিরা বাইরে থেকে আসেন। তিনি বলেন, ‘‘আবাসিকদের বিদ্যুতের নিজস্ব মিটার নিতে বলা হয়েছে। সে জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে জমা করতে বলা হয়েছে। তবে আমরা সাত দিন সময় চেয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement