জেমারির চার এলাকায় পর্যাপ্ত জল মেলে না। নিজস্ব চিত্র
পরিস্রুত পানীয় জল মেলে না। এমনই অভিযোগ রানিগঞ্জ ব্লকের জেমারি পঞ্চায়েতের বাঁকিডাঙা, মুণ্ডাপাড়া, মসজিদ মহল্লা ও জেকে নগর বাজারের একাংশের বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, সমস্যা সমাধানে বার বার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হলেও লাভ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই চারটি এলাকায় খাদান থেকে তোলা অপরিস্রুত জল সরবরাহ করে ইসিএল। তা-ও অপর্যাপ্ত। বাঁকিডাঙার বাসিন্দা বিরজা বাউড়ি, লক্ষ্মী বাউড়িরা জানান, তাঁদের পাড়া থেকে পাঁচশো মিটার দূরে রূপাই ধাওড়ায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জল সরবরাহ করে। বিরজাদেবী বলেন, “আমাদের পাড়া থেকে রূপাই ধাওড়ায় যাওয়ার ভাল রাস্তাও নেই। তা-ও প্রতি দিন জল মেলে না। ওই পাড়ার লোকজন জল নেওয়ার পরে আমরা জল নিতে পারি। তা না হলে খালি বালতি হাতে ফিরতে হয়।’’ দশম শ্রেণির পড়ুয়া সুজাতা হেমব্রম জানায়, বিয়ে, অন্নপ্রাশন-সহ নানা অনুষ্ঠানে বেশি জল দরকার হয়। সেই সময়ে অনেক দূর থেকে জল আনতে হয় অথবা জল কিনতে হয়।
মুণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা দিলীপ আনসারি জানান, তাঁদের পাড়ায় ইসিএলের একটি কল আছে। তা দিয়ে পড়ে অপরিস্রুত জল। সেই জল নেয় প্রায় ৭০টি পরিবার। আর পরিস্রুত জল কিনে খেতে হয়। পঞ্চায়েত দফতরে জল শোধনাগার আছে। ২০ লিটার জলের দর ছ’টাকা। সেই জল আবার বাড়়িতে পৌঁছে দিতে ২০ টাকা করে নেন বাহকেরা। জেকে নগর বাজারের একাংশে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের একটি কল থেকে জল নেয় ৪৭টি পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দা সুধীর সিংহ, রজনীশ শর্মাদের ক্ষোভ, ‘‘জল অপর্যাপ্ত। মাঝেসাঝে জল নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বচসাও হয়।’’
মসজিদপাড়ায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে তিন বছর আগে পাইপ লাইন পেতে আটটিরও বেশি কল বসানো হয়। কিন্তু তা দিয়ে কোনও দিন জল পড়েনি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “ইসিএলের জল ফুটিয়ে বা পরিস্রুত জল কিনে খেতে হয়।’’
জল-সমস্যা সম্পর্কে রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া বলেন, “সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে জল নিয়ে সমীক্ষা করে দেখেছি, বাসিন্দারা সমস্যায় রয়েছেন। সমস্যা মেটাতে সমিতি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’