গর্তে ভরা রাস্তায় নাকাল যাত্রীরা

প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মেমারি-মালডাঙা রাস্তার জায়গায় জায়গায় বড় বড় গর্ত। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে কয়েক বার পথ অবরোধ করা হয়েছে। তবে তাতেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, ওই রাস্তা সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৫ ০১:২৫
Share:

মেমারি-মালডাঙা রাস্তায় দুর্গাডাঙায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মেমারি-মালডাঙা রাস্তার জায়গায় জায়গায় বড় বড় গর্ত। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে কয়েক বার পথ অবরোধ করা হয়েছে। তবে তাতেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, ওই রাস্তা সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

মেমারি-মালডাঙা রাস্তাটির পাশেই রয়েছে একাধিক স্কুল ও মেমারি কলেজ। মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করা হয়। এই রাস্তা দিয়েই বাস ও ট্রেকার যোগে কালনা, বোলপুর, কুসুমগ্রাম, পুটশুড়ি, কুলে-চুয়াডাঙা-সহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া যায়। নাদনঘাট থেকে কলকাতামুখী দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাসগুলি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। অসুস্থ মানুষকে ওই ভাঙা রাস্তা দিয়েই মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়। রোগীর জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। মেমারির তকিপুরের বাসিন্দা দেবু কর্মকারের ক্ষোভ, ‘‘মেমারিতে ব্যবসা বাড়ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য এই রাস্তা ঠিক রাখা খুবই জরুরী। যদিও প্রশাসনিক কর্তাদের সে বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই।’’ দুর্গাডাঙার এক বাসিন্দার দাবি, মেমারি-মালডাঙা রাস্তাটি সারানোর জন্য প্রশাসনের কাছে অনেক বার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। মেমারির বিডিও রানু মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি জানি। শীঘ্রই সারাইয়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা।’’ বর্ধমান জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তমকুমার চক্রবর্তী বলেন, রাস্তাটি রাজ্য সরকারের পূর্ত বিভাগের দায়িত্বে রয়েছে। তারাই কাজ করবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় চার বছর আগে ওই রাস্তাটির শেষ বার সংস্কার হয়েছিল। জেলা কংগ্রেস নেতা তথা মেমারির বাসিন্দা এআইসিসি সদস্য সেলিম মোল্লার দাবি, ‘‘মেমারি-মালডাঙা রাস্তা হল শহরের প্রাণকেন্দ্র। তাই এর সংস্কার জরুরি।’’ মেমারির সিপিএম নেতা অভিজিৎ কোঙারের দাবি, বাম আমলের শেষ দিকে এই রাস্তাটির সংস্কার করা হয়েছিল। তারপর কোনও কাজ হয়নি। ফলে মানুষ বিপাকে পড়ছে। মেমারি এলাকার জেলাপরিষদ সদস্য তৃণমূলের বাপি হাঁসদার আশ্বাস, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য পূর্ত বিভাগের প্রয়োজনীয় অনুমোদন মিলেছে। কাজ শুরুর তোড়জোড় চলছে। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তাটি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে কাজ হবে বলে শুনেছি।’’

Advertisement

জেলা পূর্ত বিভাগের কর্তা সন্দীপ কুমার দাস বলেন, সম্প্রতি মেমারির দিক থেকে রাস্তাটির কাজ শুরু করা হয়েছে। দিন কয়েক আগেই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। প্রথম স্তরে কালভার্ট তৈরি ও রাস্তা সংলগ্ন নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ হবে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন