TMC

তৃণমূল কার্যালয়ের চাল উড়ল, ছুড়ে ফেলা হল পতাকা! গোষ্ঠীকোন্দলে আবার উত্তপ্ত গলসি

গলসি-১ নম্বর ব্লকে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন এবং বর্তমান ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক নেপাল ঘরুই এই তিন জনের তিনটি গোষ্ঠী রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৫
Share:

তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।

আবার পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দলের ঘটনা প্রকাশ্যে। এ বার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে ভাঙচুর হল দলীয় কার্যালয়। রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হল দলের পতাকা। পুরো ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

গলসির জাগুলিপাড়া মোড়ে তৃণমূলের একটি কার্যালয় রয়েছে। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় সেটির উদ্বোধন করেছিলেন। তখন থেকে তাঁর অনুগামীরাই মূলত ওই কার্যালয়ে বসতেন। অভিযোগ, রবিবার রাতে দলীয় কার্যালয়ের ছাউনির একাংশ এবং শহিদ বেদি ভেঙে ফেলেন কয়েক জন ‘বহিরাগত’। বসার বেঞ্চগুলো ছুড়ে বাইরে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। এ নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে। আঙুল উঠেছে বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।

বস্তুত, গলসি-১ নম্বর ব্লকে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন এবং বর্তমান ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই এই তিন জনের তিনটি গোষ্ঠী রয়েছে বলে তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর। এর আগেও বেশ কয়েক বার গোষ্ঠীকোন্দলে জড়িয়েছে তিন গোষ্ঠী। গত ২ জানুয়ারী বিধায়ক নেপালের গোষ্ঠী এবং ব্লক সভাপতি জনার্দনের লোক জনের মধ্যে গন্ডগোলে এলাকায় বোমাবাজিরও অভিযোগ ওঠে। সে বার গুরুতর জখম হন এক তৃণমূল কর্মী। ওই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে চার জনকে হেফাজতে নিয়ে গ্রামের দু’টি জায়গা থেকে মোট ন’টি বোমা উদ্ধার করা হয়। তার পরই থেকে এক প্রকার থমথমে ছিল ওই এলাকা।

Advertisement

সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এ বার দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় নতুন করে অশান্তি শুরু হল তৃণমূলের অন্দরে। এই গন্ডগোল এবং ভাঙচুর নিয়ে গলসির বিধায়ক নেপালকে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস অবশ্য জানান এ নিয়ে তাঁরা অবহিত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঘটনাটি জেনেছি। খোঁজখবর নিয়ে জানব, কারা এই কাজ করেছেন। আর দলীয় অফিস যারা ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement