কাটোয়া: স্কুলের টিফিনে ছেলেকে ডিমভাজা দেবেন ভেবেছিলেন মা। ডিম ফাটাতে গিয়েই বিপত্তি। দুর্গন্ধ আসছে যে। তড়িঘড়ি যোগাযোগ করা হয় মহকুমাশাসকের দফতরে। খবর পেয়ে, প্রশাসনের কর্তারা বাড়ি এসে জানিয়ে দেন, নির্ভয়ে ডিম খান। ‘প্লাস্টিক-ডিমে’র গুজবের জেরে বুধবার এমনই ঘটনা ঘটল কাটোয়ার কাছারিপাড়ায়। কাছারিপাড়ার মিলি মোদক এ দিন সকালে ডিম ফাটিয়ে দেখেন, কুসুমটা নষ্ট হয়ে গেছে। তাঁর স্বামী জয়ন্তবাবু ফোন করেন মহকুমাশাসকের দফতরে। ততক্ষণে প্লাস্টিক ডিম পাওয়া গিয়েছে, গুজবে মোজকবাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করে পড়শিরাও। জয়ন্তবাবুর দাবি, ‘‘চারদিকে ‘প্লাস্টিক ডিমে’র কথা শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সোমবার নীচুবাজার থেকে ছ’টি ডিম কিনেছিলাম।’’ জয়ন্তবাবুর আরও দাবি, সোমবার তাঁর ভাইঝি না কি ওই ডিম খাওয়ার পরে ঝিমোচ্ছিলেন।
জয়ন্তবাবুর বাড়ি গিয়ে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিক হেমন্ত মণ্ডল দাবি করেন, ‘‘ডিমটি পরীক্ষা করে দেখেছি। কোনও ভাবেই এটি প্লাস্টিক ডিম নয়। কোনও কারণে স্বাভাবিক ভাবেই তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’’ কাটায়োর মহকুমাশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর বলেন, ‘‘অকারণে ডিম-ভীতি যাতে না ছড়ায়, তার জন্য তৎপর প্রশাসন।’’