বিজেপির সমাবেশে ধস্তাধস্তি

শমীকবাবু বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যাঁরা মার খাচ্ছেন, যাঁরা টিকিট পাননি বা যাঁরা পিছনের সারিতে চলে গিয়েছেন, তাঁদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৮ ০১:১১
Share:

থানায় ঢোকার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের বিরোধিতা করে সভা ডেকেছিলেন নেতারা। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা।

Advertisement

বুধবার কার্জন গেট চত্বরে পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস, বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ ও রাজ্য সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় বিজেপি। হাজির ছিলেন দলের রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্য, বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক অনল বিশ্বাস, রাজ্য সভানেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য, জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী। কেন্দ্র সরকারের নানা প্রকল্প তুলে ধরার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তাঁরা। নানা দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেন নেতারা। ছিল জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও কর্মসুচি।

শমীকবাবু বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যাঁরা মার খাচ্ছেন, যাঁরা টিকিট পাননি বা যাঁরা পিছনের সারিতে চলে গিয়েছেন, তাঁদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’’

Advertisement

সঙ্গে একদা লালদূর্গ বর্ধমানে সিপিএমকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘এ রাজ্যে কৃষক সভা বলে কিছু নেই, যাঁরা এতদিন কৃষক সভা করতেন তাঁদের বলছি, আপনারাও আমাদের সঙ্গে আসুন।’’

সমাবেশ চলাকালীন বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বাধে পুলিশের। জানা গিয়েছে, সভা চলাকালীন জিটি রোড জুড়ে বেশ কিছু যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। যানজট বেধে যায়। তা নিয়ন্ত্রণ করতেই এগোচ্ছিল একটি পুলিশের গাড়ি। অভিযোগ, বিজেপির কয়েকজন কর্মী ওই গাড়িটি ঘিরে ধরে আটকে দেন। পুলিশ তাঁদের সরাতে চাইলে বর্ধমান থানার এক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ। শেষে মঞ্চ থেকে নেমে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন নেতারা।

এরপরে থানায় স্মারকলিপি জমা দিতে যান দলের নেতা-কর্মীরা। সেখানেও আর এক প্রস্থ ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশের দাবি, পাঁচ জনের প্রতিনিধি দলকে ভেতরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা থানার গেট টপকে ভেতরে আসতে চান। তাদের আটকানো হয়েছে। দলের রাজ্য সভানেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য দাবি করেন, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের কাছের লোক। আমরা জেলা প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার কথা বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন