সরকারি আবাসন প্রকল্পে ঘর তৈরির টাকা পেয়েও তা না করার জন্য উপভোক্তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই এ রকম শতাধিক উপভোক্তাকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলকোট ব্লক প্রশাসনের তরফে পঞ্চায়েত প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোতিষ্ঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভাগ্যধর দাস বলেন, “ব্লক থেকে নির্দেশ পেয়েছি। যাঁরা বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করেননি, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে। দু’একজন দ্রুত কাজ শেষ করবেন বলেও জানিয়েছেন।’’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে মঙ্গলকোট ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েত থেকে প্রায় ১৭৭৩ জন উপভোক্তার নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য ব্লকে পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো বাড়ি তৈরির জন্য বরাদ্দ অর্থ ব্লক থেকে ওই সমস্ত উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, ইতিমধ্যে বাড়ি তৈরির সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও শতাধিক উপভোক্তা বাড়ি তৈরি করেনি। বারবার বলার পরেও বাড়ি তৈরির কাজ শেষ না করায় শেষমেষ আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
মঙ্গলকোটের বিডিও সায়ন দাশগুপ্ত জানান, যে সমস্ত ব্যক্তিকে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হয়েছে, ওই টাকা দিয়ে তাঁদের বাড়ি তৈরি করতে হবে কিংবা টাকা ফেরত দিতে হবে। বিডিওর কথায়, ‘‘ইতিমধ্যেই ওই সব উপভোক্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে। এরপর সরকারি অর্থ তছরুপের দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বাড়ি তৈরির জন্যে দেওয়া সরকারি টাকার অপব্যবহার রুখতেই এমন ভাবনা বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সী রেজাউল হক জানান, বেশির ভাগ উপভোক্তাই বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন। যাঁরা বাড়ি করেননি বা এখনও বাড়ি তৈরি করেও শেষ করেননি, তাঁদের বাড়ির কাজ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ তেমনটা না হলে আগামী দিনে সরকারি আবাসন প্রকল্পে কোটা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘মাত্র কয়েক জনের জন্য গোটা ব্লক বঞ্চিত হবে, এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’’