West Bengal

Burdwan Murder: মাকে খুন করে ঘরে দেহ পুঁতে দেয় ছেলে, ধূপ জ্বেলে ‘শ্রদ্ধা’ নিবেদন আড়াই বছর ধরে!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আড়াই আগে, ২০১৯ সাল নাগাদ হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান হটুদেওয়ান পীরতলার ক্যানেলপাড় এলাকার বাসিন্দা সুকুরানা বিবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:০০
Share:

ঘরের মেঝেয় এ ভাবেই রোজ ধূপ জ্বালত। আটক নয়ন শেখ। —নিজস্ব চিত্র।

পারিবারিক বিবাদের জেরে আড়াই বছর আগে মাকে খুন করেছে ছোট ছেলে। দেহ পুঁতে রাখা হয়েছে বাড়িতেই, মেঝের নীচে। মঙ্গলবার ছোট ছেলের স্ত্রী-র কথায় ফাঁস হয়ে গেল সেই খুনের কথা। বর্ধমান শহর লাগোয়া হটুদেওয়ান পীরতলার এই কাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিহত সুকুরানা বিবির ছোট ছেলে শেখ শহিদুল ওরফে নয়নকে আটক করা হয়েছে। বুধবার আদালতের নির্দেশ নিয়ে দেহ উদ্ধার করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আড়াই আগে, ২০১৯ সাল নাগাদ হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান হটুদেওয়ান পীরতলার ক্যানেলপাড় এলাকার বাসিন্দা সুকুরানা বিবি। তিনি থাকতেন তাঁর ছোট ছেলে নয়নের সঙ্গে। বহু জায়গায় খোঁজাখুজির পরেও মায়ের হদিশ না পেয়ে বর্ধমান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন সুকুরানার বড় ছেলে শেখ কিসমত। তখনকার মতো ধামাচাপা পড়ে যায় বিষয়টি।

মায়ের খোঁজ পাওয়ার আশা অবশ্য ছাড়েননি কিসমত। বছর দু’য়েক আগে কিসমতের ভাই নয়নের বিয়ে হয় পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের এরুয়ার গ্রামে। কিন্তু মাস চারেক আগে পারিবারিক অশান্তির জেরে নয়নের স্ত্রী সুকুরানা বাপের বাড়ি চলে যান তাঁর সাত মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে। সোমবার কিসমত এবং তাঁর স্ত্রী মিলি বিবি ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি এরুয়ার গ্রামে যান ছোট বউমাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু সুকুরানা বাড়ি ফিরতে অস্বীকার করেন। কিসমতের দাবি, ‘‘ছোট বউমার কাছে জানতে পারি তাদের পারিবারিক অশান্তির কথা। মাকে খুনের কথা সুকুরানার কাছে স্বীকার করে ভাই। নয়ন তার স্ত্রীকে বলেছে, ‘মাকে মুগুর দিয়ে মাথার পিছনে মেরে শ্বাসরোধ করে খুন করেছি।’ ভাই তার স্ত্রীকেও খুন করে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। মাকে খুন করার মাস ছ’য়েক পর ওর বিয়ে হয়েছিল। মা বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে যাতায়াত করত। তাই নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে অশান্তি হয়েছে বহু বার। সে কারণেই রাগে খুন করেছে বলে মনে হয়। আমরা চাই ওর শাস্তি হোক।’’

Advertisement

নয়ন পেশায় গাড়িচালক। তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সে মাঝেমাঝে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলত। তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাকে খুনের পর গর্ত খুঁড়ে দেহ পুঁতে দিয়েছিল নয়ন। তার পর পাকা মেঝেও তৈরি করে সে। মাকে ‘শ্রদ্ধা’ জানাতে ওই ঘরে নিয়মিত ধূপও জ্বালত নয়ন। পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন