সুশীলা সিংহকে খুনের অভিযোগে আঙুল উঠছে তাঁর পুত্রের দিকে। —নিজস্ব চিত্র।
মাকে খুনের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক ছেলে। বুধবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানা এলাকায়।
বুধবার সকালে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে একটি দেহ দেখে কুলটি থানার এলসি মোড় সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় কয়েক জন পুলিশে খবর দেন। এর পর সুশীলা সিংহ নামে ৪৫ বছরের এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতিবেশী এবং পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে সুশীলাকে। সাংসারিক অশান্তির জেরে মাকে ছেলেই হত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তরুণকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
মনে করা হচ্ছে, ওই মহিলা খুন হয়েছেন মঙ্গলবার রাতে। বাড়ির পাশেই একটি দোকান ছিল তাঁর। বাইরে কোথাও তাঁকে হত্যা করে ওই দোকানে দেহ ফেলে দেওয়া হয়। সুশীলার মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় মৃতার পুত্র বিশাল সিংহকে সন্দেহ করছে পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঠিক কী কারণে এই খুন এবং বিশালই মাকে খুন করেছেন কি না, পরিষ্কার নয়। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, দোকান থেকে রোজগার করেন তাই দিয়ে সংসার চালাতেন ওই মহিলা। ছেলে কোনও কাজকর্ম করেন না। বাইরেই থাকতেন মূলত। এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘কী করত কিছুই জানি না। তবে সর্বদাই মদ খেয়ে থাকত। সকলে বলাবলি করছেন, মদ খেয়ে মাকে খুন করে দিয়েছে ও। পুলিশ তদন্ত করছে। দেখা যাক কী বার হয়।’’
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) শেখ জাভেদ বলেন, ‘‘রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর ছেলেকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছি। সব দিক খোলা রেখে তদন্ত করা হবে। এখনই সমস্ত কিছু পরিষ্কার নয়।’’