পরিষেবা পাচ্ছে না বিশেষ চাহিদার শিশুরা, ক্ষোভ

টাকা পড়ে, তবু প্রাপ্য পরিষেবা পাচ্ছে না বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা। ফিজিও থেরাপিস্টের অভাবে মঙ্গলকোট ব্লকে বন্ধ হয়ে রয়েছে ওই শিশুদের বিশেষ সরকারি প্রকল্প।

Advertisement

প্রদীপ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

টাকা পড়ে, তবু প্রাপ্য পরিষেবা পাচ্ছে না বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা। ফিজিও থেরাপিস্টের অভাবে মঙ্গলকোট ব্লকে বন্ধ হয়ে রয়েছে ওই শিশুদের বিশেষ সরকারি প্রকল্প।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের অর্থানুকূল্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ‘রিসোর্সফুল সাপোর্ট’ নামে একটি প্রকল্প শুরু হয় ২০০৬ সালে, যার আর এক নাম ‘রেমিডিয়াল থেরাপি’। এই প্রকল্পে ওই পড়ুয়াদের নিয়মিত পরিচর্যা, চিকিৎসা করার ব্যবস্থা আছে। শিশুদের শারীরিত ও মানসিক ভাবে পাশে থাকা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। অথচ মঙ্গলকোটে প্রশিক্ষিত লোকের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রকল্পটি। সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক শারদ্যুতী চৌধুরীর অবশ্য দাবি, যেখানে থেরাপিস্ট সেখানে অন্য জায়গা থেকে থেরাপিস্ট এনে কাজ চালানোর চেষ্টা চলছে। মঙ্গলকোটের সমস্যাটাও দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলকোট ব্লকের পালিগ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝিখাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আজিজুল হক বা চানকের রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রিম্পা দাসেরা জন্ম থেকেই পায়ের সমস্যায় ভুগছে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও স্কুলে আসে, পড়াশোনা করে তারা। সপ্তাহে একদিন করে স্থানীয় ক্লাস্টারে তাদের ফিজিও ফেরাপিও করানোর কথা। কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে থেরাপিস্ট না আসায় প্রকল্পটি থমকে রয়েছে। আজিজুলের মা আপেল বিবি বা রিম্পার বাবা বাবলু দাসদের দাবি, নিয়মিত ফিজিও থেরাপিতে ছেলেমেয়েদের উন্নতি হচ্ছিল, কিন্তু এখন সব বন্ধ। মাস্টারমশাইরাও কিছু জানাতে পারছেন না। তাঁরা বলেন, ‘‘বাইরে গিয়ে ফিজিও থেরাপি করানোর সামর্থ্য নেই। স্কুলে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতি হয়ে গেল।’’

Advertisement

মঙ্গলকোট ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্যামল ঘোষ জানান, এলাকায় একজন ফিজিও থেরাপিস্ট ছিলেন। কিন্তু তিনি অন্যত্র চলে যাওয়ার পর থেকেই প্রকল্পটা বন্ধ আছে। ওই দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলকোটের এই চক্রে এই স্কিমে প্রায় কুড়ি হাজার টাকা পড়ে আছে। কিন্তু টেকনিশিয়ানের অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে। বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরেও ফিজিও থেরাপিস্ট মিলছে না বলে তাঁদের দাবি। ওই দফতরের এক কর্তা জানান, জেলার ৫৯টি সার্কেলের মধ্যে বেশ কয়েকটি সার্কেলে এই কাজ বন্ধ আছে। এছাড়া কিছু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় অনেকেই যেতে চান না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন