স্বপন দেবনাথ। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী এক সময় তেলেভাজা শিল্পের কথা বলেছিলেন। তাঁর মন্ত্রীসভার সদস্য স্বপন দেবনাথ তেলেভাজা ব্যবসা বাঁচানোর জন্য ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে সাহায্য করার দাবি জানালেন।
রবিবার টাউন স্কুলের মাঠে বর্ধমানের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের চতুর্থ দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলনে ব্যাঙ্কের কর্তাদের সামনে স্বপনবাবু বলেন, “ফুটপাথের তেলেভাজা ব্যবসাদারদের কাঁচামাল কিনতে, সেলুন মালিককে, ছোট তাঁত শিল্পীদের সাহায্য করুন। ব্যাঙ্ককে পাঁচ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঋণ দিতে হবে। এই সব ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্কের সাহায্য পেলে মন দিয়ে ব্যবসা করতে পারবে।” তাঁর সংযোজন, “আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য, ঋণ নাও, শোধ কর, ঋণ নাও। এই উদ্দেশ্য থেকে আমরা কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। নতুন করে জোয়ার আনতে হবে।”
নদিয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সভাপতি শিবনাথ চৌধুরী মন্ত্রীকে বলেন, “আমরা ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। মুড়ি তৈরি, খই তৈরি, ঠোঙা তৈরির জন্যেও মহিলাদের ঋণ দিয়েছি। মহিলাদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়েছি। ওদের মতো ব্যাঙ্কও উপকৃত হয়েছে।”
এ দিনের আলোচনায় উঠে আসে, প্রায় বছর খানেক ধরে ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি নেই। নির্বাচিত সংস্থার বদলে মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক (সিইও) দ্বারা ব্যাঙ্ক পরিচালিত হচ্ছে। ফলে, পরিচালন সমিতির অভাবে একা সিইও-র পক্ষে সব রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের কর্তা আশিস চক্রবর্তী বলেন, “ব্যাঙ্কে পরিচালন সমিতি না থাকলে তার প্রভাব নিচুস্তরে পৌঁছবে। সিদ্ধান্ত নিতে অহেতুক দেরি হবে।”
অবিভক্ত বর্ধমানের তৃণমূলের সমবায় সেলের চেয়ারম্যান নরেন চক্রবর্তী দাবি করেন, “বাম আমলে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে, সবার মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এখন অনাদায়ী ঋণ আদায়ের পরিমাণ বাড়িয়েছেন কর্মীরা।” এ দিন স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের বর্ধমান শাখার সভাপতি অমিত রজক ৫০ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করেন। তিনি বলেন, “১১৭ কোটি অনাদায়ী ঋণের মধ্যে ৬৩ কোটি টাকা আদায় করতে পেরেছি। এর মধ্যে আমরা ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দিতে পেরেছি। এটা সাফল্য বলেই মনে করি।”