চলছে অবস্থান। ডিএসপি ও এএসপি-র সিইও কার্যালয়ের সামনে। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে নতুন কোনও কর্মসূচি না নেওয়ার কথা জানিয়েছিল শ্রমিক সংগঠনগুলি। তবে পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছে দুর্গাপুরের ‘এএসপি বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও’ মঞ্চ। তা অনুযায়ীই বুধবার দিনভর ডিএসপি ও এএসপি-র সিইও কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেন। এ দিনই আবার তৃণমূল এএসপি-র সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে নন্দীগ্রাম দিবস স্মরণের পাশাপাশি এএসপি-র কৌশলগত বিলগ্নিকরণ রোখার ডাক দেয়।
১৯৭৩-এ তৈরি হওয়া অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট (এএসপি) লাগাতার লোকসানে চলছে জানিয়ে কিছু দিন আগে কারখানার কৌশলগত বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এরই প্রতিবাদে ২০১৭-র গোড়া থেকে যৌথ ভাবে আন্দোলন শুরু করে সিটু ও আইএনটিইউসি আন্দোলন শুরু করে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেইল) এএসপি-র কৌশলগত বিলগ্নিকরণের জন্য ‘গ্লোবাল টেন্ডার’ ডাকার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। এর পরেই আইএনটিটিইউসি বাদে বাকি সংগঠনগুলি মিলে ‘এএসপি বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও’ মঞ্চ তৈরি করে এক যোগে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। সিটু, আইএনটিইউসি ছাড়াও মঞ্চে রয়েছে বিএমএস, এআইটিইউসি, এআইইউটিইউসি ও টিইউসিসি। মঞ্চের তরফে এলাকার জনপ্রতিনিধির কাছে সহযোগিতা চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়। সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তাতে সাড়া দেন। শ্রমিক নেতারা সম্প্রতি কাঁকসায় একটি হোটেলে বিধায়ক সন্তোষবাবুকে সঙ্গে নিয়ে দেখা করেন বাবুলের সঙ্গে। বাবুল শ্রমিক নেতাদের প্রস্তাব দেন, নীতি আয়োগে আলোচনার জন্য তাঁরাও যেন যান। এর জন্য বাবুল তিন সপ্তাহ সময় চান। বাবুলের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানান শ্রমিক নেতারা। মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক তথা সিটুর জেলা সভাপতি বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এএসপি বিলগ্নিকরণ প্রশ্নে আমাদের সঙ্গে সহমত হয়েছেন। সবাই মিলে এএসপি-কে বাঁচাতে