কিশোর-কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ গাছে

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল বেলগ্রামের দক্ষিণপাড়ার ওই কিশোর এবং ওই গ্রামেরই শেখপাড়ার এক কিশোরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

গাছে ঝুলন্ত দেহ মিলল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। সঙ্গে ছিল তার ‘প্রেমিকে’র দেহও। বুধবার সকালে মঙ্গলকোটের বেলগ্রামে একটি আমগাছে দু’জনের দেহ মেলে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ভিন্‌ ধর্মের প্রেমেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে দু’জন। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে একটি ‘সুইসাইড নোট’ও।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল বেলগ্রামের দক্ষিণপাড়ার ওই কিশোর এবং ওই গ্রামেরই শেখপাড়ার এক কিশোরী। সকালে সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ঝিলতলা মাঠে তাদের দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই কিশোরী বেলগ্রাম নলিনীরঞ্জন বিদ্যামন্দির থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ওই কিশোরের আদি বাড়ি ভাতারে হলেও এই গ্রামে মামারবাড়ি থাকত সে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহের পাশ থেকে মেলা সুইসাইড নোটে কাউকে দায়ী করা হয়নি। তবে দু’জনের সম্পর্কের কথা এবং ভিন্‌ ধর্মের প্রেমে সমাজের আপত্তির জন্যই যে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা লেখা রয়েছে। তবে চিঠির হাতের লেখা এখনও পরীক্ষা করা হয়নি।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দু’জনের আত্মীয়, পড়শিদের দাবি, ওই কিশোরের মা উত্তরপ্রদেশে পরিচারিকার কাজ করেন। ছেলেটিও সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। তবে বছর দুয়েক আগে বেলগ্রামে মামারবাড়ি এসে থাকতে শুরু করে। তখন থেকেই সম্পর্ক ছিল দু’জনের। যদিও এ নিয়ে বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল না বলেও দাবি তাঁদের। মৃতার কাকা এ দিন বলেন, ‘‘বাড়ির দোতলার ঘরে একাই থাকত ভাইঝি। ভোর তিনটে থেকে খোঁজ মিলছিল না ওর। সকালে এই খবর পেলাম।’’ তাঁর দাবি, ভাইঝি তার সম্পর্কের ব্যাপারে বাড়িতে কিছু জানায়নি। জানালে হয়তো মরতে হতো না।

পুলিশ জানায়, এ দিন কাটোয়া হাসপাতালে দেহদুটির ময়না-তদন্ত হয়। তবে কোনও পরিবারের তরফেই অভিযোগ হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন