প্রতীকী ছবি।
কয়েক দিন ধরেই এক ছাত্রী স্কুলে আসছিল না। তা দেখে সন্দেহ হয় বন্ধুদের। সেই ছাত্রীর বিয়ের ঠিক হয়েছে, খবর পেয়ে ‘কন্যাশ্রী’ ক্লাবের সদস্যরা দল বেঁধে যায় সেই বন্ধুর বাড়ি। অভিযোগ, বিয়ে বন্ধ করতে বলায় সেখানে ছাত্রীদের ‘হুমকি’ দেওয়া হয়েছে।
আউশগ্রাম ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিলুট বসন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর প্রায় এক মাস আগে থেকেই বিয়ের তোড়জো়ড় চলছিল। ছাত্রীরা জানায়, তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, আগামী শুক্রবার মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বিয়ে হবে পাশের গ্রামের এক জনের সঙ্গে। এর পরেই ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের দলনেত্রী দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর নজরে আনে বিষয়টি। সেই মতো মঙ্গলবার ক্লাবের সদস্যারা ছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যায়।
বাড়ি গিয়ে ওই ছাত্রীরা পরিবারের লোক জনকে বলে, ‘‘দয়া করে এখন মেয়ের বিয়ে দেবেন না। আগে বয়স হোক ১৮ বছর।’’ অভিযোগ, সেই সময় ওই ছাত্রীর পরিবার এবং পাড়ার কয়েক জন ওই কন্যাশ্রীদের চলে যেতে বলেন। শুধু তাই নয়, বাড়ি থেকে সেই মুহূর্তে না বেরিয়ে গেলে ছাত্রীদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম মোল্লার।
এর পরেই ছাত্রীরা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষকে গোটা বিষয়টি জানায়। সেখান থেকে যোগাযোগ করা হয় প্রশাসনের সঙ্গে। বিডিও (আউশগ্রাম ১) চিত্তজিৎ বসু বলেন, ‘‘খবর পেয়েই বুধবার যুগ্ম বিডিও এবং কন্যাশ্রীদের একটি দল ফের মল্লিকপুরে যায়। বাড়ির লোক জনকে বোঝানোর পরে বিয়ে বন্ধ হয়।’’ হুমকি প্রসঙ্গে চিত্তজিৎবাবু বলেন, ‘‘এমনটা হলে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’