স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আসানসোল আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (চতুর্থ) জ্যোতির্ময় চন্দ। অভিযুক্ত আহমেদ হুসেনকে বৃহস্পতিবার নিজের হেফাজতে নিয়েছেন বিচারক।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী তাপস উকিল জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল আহমেদ হুসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ার বাসিন্দা গুলশন আড়ার। বিহারের শিউয়ান জেলার বসন্তপুরের বাসিন্দা আহমেদ বিয়ের পরে স্ত্রীকে নিয়ে দেশের বাড়ি চলে যান। মাস তিনেক পরে সপরিবারে আসানসোলের ওকে রোড এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে এসে ওঠেন তাঁরা। কিছুদিন পরে তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও হয়।
ওই বধূর দাদা মহম্মদ আসফাক আসানসোল মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তাঁর বোনকে নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আসানসোলে আসার পরে সেই নির্যাতন আরও বাড়ে। ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি তাঁদের বাড়িতে ফোনে খবর দেওয়া হয় গুলশন অসুস্থ। তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে ওই বধূর বাপের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে এসে দেখেন তাঁকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। এরপরই মহিলা থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করেন তাঁরা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে। গুলশন বিবিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও দিন কয়েকের মধ্যে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশের দাবি, মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে ওই বধূ জানিয়ে গিয়েছেন, তাঁর স্বামী তাঁর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৯ জন।