আধার-যোগের কাজ নিয়ে ক্ষোভ

খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দফত‍র সূত্রে জানা যায়, মহকুমায় ডিজিটাল রেশন কার্ডের সাড়ে ১০ লক্ষ গ্রাহক রয়েছেন। তার মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে, যাদের এখনও আধার কার্ড তৈরি হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩২
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে কমিশন না বাড়ায় কাজে অগ্রগতি আসছে না, অভিযোগ কাটোয়ার রেশন ডিলারদের একাংশের। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২০ শতাংশ গ্রাহকের আধার যোগ করা হয়েছে।

Advertisement

‘কাটোয়া মহকুমা রেশন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’ সূত্রে জানা যায়, মহকুমায় মোট ২৯৫ জন ডিলার রয়েছেন। তার মধ্যে কাটোয়া পুরসভা এলাকায় রয়েছেন ২৪ জন। এক এক জন ডিলারের আওতায় গড়ে তিন হাজার উপভোক্তা রয়েছেন। পুজোর আগে থেকে এই কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ডিলারদের। রেশনের দোকানেই এই কাজ করছেন তাঁরা। তবে কেউ ভিড় এড়াতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ডিজিটাল রেশন কার্ড ও আধার কার্ডের ফটোকপি চেয়ে রাখছেন, কেউ অস্থায়ী ভাবে কর্মী নিয়োগ করছেন, জানাচ্ছেন ডিলারেরা।

কাটোয়ার বেশ কিছু রেশন দোকান ঘুরে দেখা যায়, গ্রাহকদের ফোন নম্বর চেয়ে নেওয়া হচ্ছে। সন্ধ্যায় কাজ শেষে কার্ড সংযুক্তিকরণের কাজ চলছে। রেশন ডিলার গৌতম সাহা, সুমন ঘোষদের দাবি, ‘‘এক কুইন্টাল পিছু চাল, আটা ও গমের ক্ষেত্রে ৫৪ টাকা কমিশন পাই আমরা। এই টাকায় আধার সংযুক্তিকরণের জন্য পৃথক কর্মী রাখতে অসুবিধা হচ্ছে‌।’’ খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দফতরে কমিশন বাড়িয়ে ২৫০ টাকা বা ডিলারদের মাসিক ৩০ হাজার টাকা ভাতার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ‘কাটোয়া মহকুমা রেশন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক আমজাদ আলি খান বলেন, ‘‘টাকা বাড়লে কর্মী নিয়োগ করা যাবে। কাজেও গতি আসবে।’’

Advertisement

খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দফত‍র সূত্রে জানা যায়, মহকুমায় ডিজিটাল রেশন কার্ডের সাড়ে ১০ লক্ষ গ্রাহক রয়েছেন। তার মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে, যাদের এখনও আধার কার্ড তৈরি হয়নি। ফলে, সংযুক্তিকরণের কাজে দেরি হচ্ছে। সব গ্রাহকদের আধার সংযুক্তিকরণ সম্পূর্ণ না হলে এক দিকে, ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল, অন্য দিকে, গ্রাহকদের খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে, জানা গিয়েছে ওই দফতর সূত্রে। ফলে, দু’তরফেই সংযুক্তিকরণের কাজ করতে হবে। মহকুমা খাদ্য নিয়ামক দেবলীনা ঘোষ বলেন, ‘‘ডিলারদের সংযুক্তিকরণের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন