গায়ে গায়ে দোকান, তার মাঝেই রান্না

সারি সারি দোকান। এক দোকানের চাল ঠেকে গিয়েছে অন্যটাই। কোথাও আবার দোকানের সামনে দু’জন দাঁড়ালেই মনে হয় ভিড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩৩
Share:

টিনের চাল, বিদ্যুতের তার ঘেঁষে দোকান চকবাজারে। —নিজস্ব চিত্র।

সারি সারি দোকান। এক দোকানের চাল ঠেকে গিয়েছে অন্যটাই। কোথাও আবার দোকানের সামনে দু’জন দাঁড়ালেই মনে হয় ভিড়। কালনা শহরের ঘিঞ্জি চকবাজারে দাহ্য জিনিসের অভাব নেই। অথচ গোটা বাজারে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, কোনও ভাবে আগুন লাগলে চোখের সামনে সব নষ্ট হওয়া দেখা ছাড়া উপায় থাকবে না।

Advertisement

ভোর হতেই এ বাজারে আসেন নদিয়া, বর্ধমান, হুগলির হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতা। পাইকারি এবং খুচরো আলাদা বাজার রয়েছে এখানে। রয়েছে মুদিখানা, দশকর্মা, কাপড় পট্টি। এখানে স্থায়ী দোকান রয়েছে তিনশোর বেশি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যত দিন গিয়েছে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে। ঘিঞ্জি হয়েছে বাজার। কাপড় পট্টি, মুদিখানা পট্টিতে দু’পাশের দোকানের মধ্যে দূরত্ব এতটাই কমে গিয়েছে যে ক্রেতাদের হাঁটাচলারও জায়গা নেই। বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে বেশ কিছু অস্থায়ী দোকান রয়েছে। দশকর্মা ভাণ্ডার, জামাকাপড়ের দোকানেও ঠাসা রয়েছে দাহ্য পদার্থে। তার মধ্যে রোল, মোগলাই, চপের দোকান। সেখানে গ্যাস জ্বালিয়ে রান্না চলছে। ফলে এক বার আগুন লাগলে পুরো বাজারই ভস্মীভূত হয়ে পড়বে বলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা। বছর দুয়েক আগে বাজারে একবার আগুন লেগেছিল। তারপরেও হাল বদলায়নি বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। বাজারের বেশির ভাগ দোকান টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি। বাজারের মধ্যে জল সংরক্ষণের কোনও জায়গা নেই। আগুন নেভানোর জন্য সিলিন্ডার বা অন্য ব্যবস্থাও নেই। এমনকি, আগুন লাগলে দমকল ঢোকারও জায়গা নেই।

বাজার কমিটির সম্পাদক চণ্ডীদাস ভারতী বলেন, ‘‘আগুন লাগলে দাঁড়িয়ে নিজেদের ক্ষতি দেখা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না। প্রশাসনের উচিত বাজারে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গড়ে তোলা।’’ বাজার কমিটির কোষাধ্যক্ষ প্রসূন রায়েরও দাবি, ‘‘যত দিন যাচ্ছে বাজার ঘিঞ্জি হচ্ছে। চিন্তা বাড়ছে। আগুন লাগলে পদপৃষ্ট হয়েও মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।’’

Advertisement

কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগের আশ্বাস, চকবাজারের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি একটি নতুন পরিকাঠামো তৈরি করছে। উদ্বোধনের আগে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা দেখে নেওয়া হবে। দমকলের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘চকবাজার এলাকায় একটি অস্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সে বার ব্যবসায়ীরা তেমন গা করেনননি। ফের বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন