সাবান থেকে চানাচুর, সবই নিয়ে গেল চোরে

বুধবার বর্ধমান শহর লাগোয়া কৃষ্ণপুরের পূর্বপাড়ার মেসবাড়ির জিনিসপত্র এমন ভাবেই সাফ করে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে ভরসন্ধ্যায় চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ল্যাপটপ, টিভি তো বটেই, জ্যাম, সাবান, চানাচুরও নিয়ে চম্পট দিল চোরেরা। খেয়ে গেল শিশিতে রাখা মধু। এমনকী, বাদ দিল না বিছানায় রাখা সিগারেটের প্যাকেটও।

Advertisement

বুধবার বর্ধমান শহর লাগোয়া কৃষ্ণপুরের পূর্বপাড়ার মেসবাড়ির জিনিসপত্র এমন ভাবেই সাফ করে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। বাড়ির মালিক, সেনাকর্মী কাজি আবু সেলিম কর্মসূত্রে ভিন্‌ রাজ্যে থাকেন। বাড়ির দু’টি ঘর ভাড়া নিয়ে বছরখানেক ধরে রয়েছেন সরকারি কর্মী শান্তনু গুরু, বেসরকারি সংস্থার দুই কর্মী সাব্বির আলি ও প্রহ্লাদ রায়। তাঁরা জানান, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ কাজ সেরে ঘরে ফিরে দেখেন, সব লন্ডভন্ড।

প্রহ্লাদবাবু বলেন, ‘‘প্রতিদিনই সকালে আমরা বেরিয়ে যাই। রাত ৮টা নাগাদ ঘরে ফিরি। বুধবার শান্তনু প্রথমে বাড়ি ফেরেন। অন্য দিনের মতো মূল গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, তালা ভাঙা। ভিতরে সব কিছু তছনছ।’’ খবর পেয়ে তাঁরা ছুটে আসেন। রাতেই বর্ধমান থানায় অভিযোগ করা হয়।

Advertisement

তবে ভাঁড়ার ঘরও যে সাফ হয়েছে, তা রাত পর্যন্ত জানা ছিল না প্রহ্লাদবাবুদের। থানা থেকে ফিরে খাবারের জন্য রান্নাঘরে পা দিয়ে দেখেন, চানাচুর ছড়িয়ে রয়েছে। মধুর শিশি গড়াগড়ি খাচ্ছে। দেখেশুনে তিন জনই হতবাক হয়ে যান। তাঁরা বলেন, ‘‘দামি জিনিস খোয়া গিয়েছে। কিন্তু, ফ্রিজ খুলে জ্যাম-সসও নিয়ে পালিয়েছে চোরেরা, এমন অভিজ্ঞতা নতুন!’’ শান্তনুবাবুরা জানান, ফ্রিজের উপরে রাখা মধু খেয়ে এক পাত্র চানাচুর নিয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি সুগন্ধী সাবান, বিছানায় রাখা কয়েকটি সিগারেট— সব উধাও। বাড়ির মালিকের পরিজন আসমিনা খাতুন বলেন, ‘‘চোরেরা রান্নাঘরে ঢুকে চানাচুর-সাবান নিয়েছে শুনে বেশ অবাক হয়েছি। খাবারও চোরের হাত থেকে নিরাপদ নয়!’’

পরপর চুরি নিয়ে চিন্তায় বর্ধমান থানা। সন্ধ্যায় এই ঘটনার পরে বুধবার রাতভর পুলিশ অফিসারেরা টহল দেন। বর্ধমান থানা সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিনে ১৬-১৭ জনকে ধরা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, বাইরের কোনও দল শহরে ভাড়া নিয়ে রয়েছে। তারাই সুযোগ বুঝে ফাঁকা বাড়িতে চড়াও হচ্ছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘আমরা জোর তল্লাশি চালাচ্ছি। খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে দুষ্কৃতীরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন