Coronavirus Lockdown

অনুপস্থিত থাকলে হবে ব্যবস্থা, নির্দেশ

সোমবার থেকে তৃতীয় দফায় স্কুলে মিড-ডে মিল বাবদ চাল ও আলু বিলির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০৪:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি

মিড-ডে মিলের চাল, আলু সুষ্ঠু ভাবে বিলির জন্য এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনও ‘অজুহাত’ শোনা হবে না। কেউ অনুপস্থিত থাকলে পদক্ষেপ করা হবে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্কুলে এমনই নির্দেশ পাঠিয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর। কিন্তু এর পরেই শিক্ষক সংগঠনগুলির প্রশ্ন, ভিন্-জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও কি তাহলে আসতে হবে। তা-ই যদি হয়, তবে যাতায়াতে সমস্যা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

আজ, সোমবার থেকে তৃতীয় দফায় স্কুলে মিড-ডে মিল বাবদ চাল ও আলু বিলির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের অভিভাবকদের আলাদা-আলাদা সময়ে চাল, আলু দেওয়ার জন্য ৪ জুন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা হয়েছে। যে সব পড়ুয়ার অভিভাবকেরা এই দিনগুলিতে মিড-ডে মিল নিতে পারবেন না, তাঁরা ৫ ও ৬ জুন এসে তা নিতে পারবেন।

এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার নির্দেশিকাটি জারি করে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে তা পাঠানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের প্রশ্ন, ভিন্ জেলা থেকে যাঁরা আসেন, তাঁরা কী ভাবে আসবেন? যদিও জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অজয় পালের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে সবাইকে। মিড-ডে মিলের সামগ্রী পড়ুয়াদের অভিভাবকদের দেওয়ার জন্য যা করার তা করতে হবে। স্কুলগুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামগ্রী বিলির প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ভিন্ জেলার বাসিন্দা শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও আসতে হবে।’’

Advertisement

তবে বাম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ‘নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি’র জেলা সম্পাদক অমিতদ্যুতি ঘোষ বলেন, “অন্য জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কী ভাবে স্কুলে আসবেন? গণ পরিবহণ এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় সমস্যায় পড়বেন তাঁরা।’’ তৃণমূল প্রভাবিত ‘পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’র জেলা সভাপতি রাজীব মুখোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘ভিন্ জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেরই নিশ্চয় সমস্যা হবে।” তবে সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন: “পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কাছে মিড ডে মিলের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়াটাও জরুরি।’’

শিক্ষা দফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্তাদের একাংশও জানান, গত দু’দফায় ভিন্ জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কেউ কেউ স্কুলে না আসায় সামগ্রী বিলিতে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এ বার সেই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement