দেড় দশকেরও পুরনো একটি খুনের মামলায় বুধবার সাজা ঘোষণা করল দুর্গাপুর আদালত। ১৯৯৯ সালে পানাগড়ে এক বধূকে খুনের অভিযোগে দোষী গণেশ পাসোয়ানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিলেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রসূন ভট্টাচার্য।
ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৯ সালের ১৭ অগস্ট। পানগড় রেল আবাসনে স্ত্রী মঞ্জুদেবীকে নিয়ে থাকতেন ভিখারি রাম। তিনি রঙের কাজকর্ম করতেন। মঞ্জুদেবীর ভাই সাগর রামের সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ পাসোয়ানের। ভিখারিবাবু কাঁকসা থানায় অভিযোগে করেছিলেন, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ গণেশ তাঁদের বাড়িতে যায়। বাইরের রেলিংয়ের গেট তালাবন্ধ ছিল। বাড়িতে একা ছিলেন মঞ্জুদেবী। গণেশ পাঁচিল টপকে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। তার হাত থেকে বাঁচতে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন মঞ্জুদেবী। রাস্তায় বাড়ির পরিচারিকা সোনি কুমারীকে দেখে স্বামীকে খবর দিতে বলেন। ভিখারিবাবু এসে দেখেন, তাঁর স্ত্রী রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন।
ভিখারিবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে গণেশকে। পানাগড় স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশ থেকে একটি নয় ইঞ্চির রক্তাক্ত ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় গণেশ স্বীকার করে, সেই ছুরি দিয়েই উপর্যুপরি মঞ্জুদেবীকে আঘাত করে সে। পুলিশ দুর্গাপুর আদালতে গণেশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করে। সরকারি আইনজীবী জিতেন চট্টোপাধ্যায় জানান, তদন্তকারী পুলিশ অফিসার, মঞ্জুদেবীর বাড়ির পরিচারিকা সোনি কুমারী, এক স্কুল ছাত্র-সহ ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। বুধবার সাজা ঘোষণা হয়।