জাহের শেখ। —ফাইল চিত্র
নিজের একাধিক অনুগামী ও আত্মীয় খুনের পরে প্রতিবারই তিনি বলতেন, ‘আসল ‘টার্গেট’ আমি’। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
খুন হয়ে গেলেন কেতুগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি জাহের শেখ। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ কেতুগ্রামের কান্দরার বাদশাহি রোডের উপরে গুলি করে মারা হয় ৩৮ বছরের জাহেরকে। এই ঘটনায় শাসকদলেরই অন্তর্দ্বন্দ্বের ছায়া দেখছেন অনেকে। কেতুগ্রামের এই প্রভাবশালী যুব নেতার খুনের পরেই অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূলেরই জাহাঙ্গির শেখের বাড়িতে। এক সময় তিনি জাহেরের ঘনিষ্ঠ হলেও বর্তমানে দু’জনের মধ্যে নানা বিষয়ে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
এ দিন যেখানে খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেই রায় খাঁ মোড়েই বাড়ি জাহাঙ্গিরের। এ দিন রায় খাঁ মোড়ের কাছে সেলুনে চুল কেটে বাড়ি ফিরছিলেন জাহের। নিরাপত্তারক্ষী মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন। জাহের ছিলেন পিছনে। তাঁর অনুগামীদের দাবি, রাস্তার ধারে প্রাথমিক স্কুলের পাশ থেকে পূর্বপরিচিত কেউ তাঁকে ডাকে। মোটরবাইক থামতেই গুলি করা হয় তাঁকে। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে, জাহেরের মাথার পিছনে, কানের পাশে একাধিক গুলি করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ কুণাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘জাহের শেখকে কারা খুন করল, তদন্ত করে দেখছি।’’
কেতুগ্রাম এখন পুরোপুরি বিরোধীশূন্য। তা সত্ত্বেও হানাহানির ঘটনার বিরাম নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই এর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘কেন এমন ঘটল বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করছে।’’